বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাজার হাজার ভক্তের উপস্থিতিতে গমগম করছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। অন্যান্য বছরের মতো এই বছরও বহু নাগা সন্ন্যাসী ভিড় জমিয়েছেন কুম্ভ মেলায় (Kumbh Mela)। তার মধ্যে বেশ কয়েকজন তো রীতিমতো ভাইরাল। তালিকায় উঠে এসেছে IIT বাবা অভয় সিংয়ের নামও। ‘এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং’ নিয়ে পড়াশোনা করা এই বাবার বাগ্মীতায় মুগ্ধ অগণিত ভক্ত।
মহাকুম্ভ (Mahakumbh) থেকে আচমকাই “উধাও” IIT বাবা
দেশের ছোট-বড় একাধিক সংস্থায় কাজের পর পাড়ি দিয়েছিলেন কানাডাতেও। মাসে নাকি আয় ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ৩৬ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। কিন্তু দুর্দান্ত চাকরি, মা-বাবার আশ্রয় এমনকি মাসিক রোজগারের মায়া কাটিয়ে তিনি বেছে নিয়েছিলেন আধ্যাত্মিকতার পথ। এরপরেই মহাকুম্ভে (Mahakumbh) এসে আখড়ার ক্যাম্পেই ঘাঁটি গেঁড়েছিলেন।
কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এই IIT বাবাকে নিয়ে। গুঞ্জন উঠতে শুরু করে, আচমকাই নাকি এই মেধাবী সন্ন্যাসী উধাও হয়ে গিয়েছেন। কোথায় গিয়েছেন? আদৌ ফিরবেন কীনা সেই সব প্রশ্ন নিয়েই তুমুল চাপানউতোর শুরু হয়। এদিকে অনেকেই বলতে শুরু করেন যে, আলো নাকি ক্যামেরার ভিড়ই নাকি কাল হল এই ঈশ্বর সাধকের জীবনে।
আরোও পড়ুন : মৃত্যুর পর এবার নিখোঁজের খবর, রুশ সেনাবাহিনীতে থাকা ভারতীয় যুবক গায়েব, চিন্তিত দিল্লি
শুধু তাই নয়, জুনা আখরার সাধুরা অভয়ের মাদক সেবনেরও অভিযোগ করেছেন। ফলস্বরূপ, জুনা আখড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, আশ্রম ছেড়ে যাওয়াই তাঁর জন্য সবচেয়ে ভালো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনেকদিন পর কুম্ভের মেলার (Kumbh Mela) সৌজন্যেই ‘ঘর পালানো’ ছেলের খোঁজ পৌঁছয় বাবা-মার কাছে। ফলে আদরের অভয়কে ঘরে ফেরাতে ছুটে আসেন তাঁরা। আর তখনই দেখেন যে ছেলে আবার ফেরার হয়েছে।
আরোও পড়ুন : ‘কেউ পাত্তাই দেয়নি’, TRP তুলেও ‘ফ্লপনীতা’ তকমা! বাংলা সেরা হয়ে উচিত জবাব ‘রায়ান’ উদয়ের
এই প্রসঙ্গে ‘IIT বাবা’-র গুরু সোমেশ্বর পুরী মহারাজ জানান, হঠাৎই উধাও হয়ে গিয়েছে সে। তবে শুক্রবার দিনকেই আইআইটি বাবা সেই খবরও উড়িয়ে দিয়েছেন। সোমেশ্বর পুরী সম্পর্কে তিনি বলেন, “কে বলেছে তিনি আমার গুরু? আমি আগেই তাঁকে বলেছিলাম যে আমাদের মধ্যে কোনও গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক নেই। এখন আমি বিখ্যাত হয়েছি, তিনি নিজেকে (সোমেশ্বর পুরী) আমার গুরু করে তুলেছেন।”
পাশাপাশি সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আসল সত্যিটা তিনি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “মাদি আশ্রমের পরিচালনায় যাঁরা রয়েছেন তাঁরা আমার সম্পর্কে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন। ওঁরা সেখান থেকে আমায় চলে যেতে বলেছিলেন। এখন ওঁরা ভাবছেন যে, আমি বিখ্যাত হয়েছি। ভাবছেন, যদি আমি ওঁদের বিরুদ্ধে কিছু বলে দিই। তাই এখন এসব বলছেন যে, আমি গোপনে ধ্যানের জন্য গিয়েছি। বোকা বোকা কথা বলছেন।”