বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাত পোহালেই সপ্তম দফার ভোট। আর তার আগে বৃহস্পতিবার রাতে তমলুকের বিজেপি (BJP) প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangly) অভিযোগ গুরুতর আভিযোগ আনলেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং আইপ্যাকের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ এদিন রাতেই তৃণমূল আর আইপ্যাকের লোক মিলে কোলাঘাটের স্ট্রং রুমে ঢুকে ইভিএম কারচুপির চেষ্টা করছিল।
কিন্তু হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ায় ভয়ে শেষ পর্যন্ত কাজ অসমাপ্ত রেখেই এদিন চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ইতিপূর্বে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ, হুগলির বিজেপি প্রার্থীর লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং-ও আইপ্যাক এর বিরুদ্ধে এই একই অভিযোগ এনেছিল।
আর এবার তমলুকের বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে কোলাঘাটের কেটিপিপি হাই স্কুলের স্ট্রং রুমের আশেপাশে ঘুরঘুর করছিল বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। তারা হাতে ওয়াকি টকি নিয়ে গাড়ি করেই আশেপাশের এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতেই ওই গভীর রাতে স্ট্রং রুম ঘিরে তৈরি হয় ব্যাপক উত্তেজনা।
এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় কোলাঘাট থানার পুলিশ। খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-ও। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি স্পষ্ট অভিযোগ জানিয়েছে ওই সন্দেহভজন গাড়িতে আইপ্যাক এর লোকজনই ছিল।
আরও পড়ুন: এক যাত্রায় পৃথক ফল অভিষেকের! তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে কল্যাণের সাথে নাম জুড়লো সুদীপ-সৌগতের
তারা গন্ডগোল পাকিয়ে স্টং রুমে ঢুকে ইভিএম বদলানোর ফাঁক খুঁজছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই সাথে বিজেপির অভিযোগ এবার পুলিশের দিকেও। কারণ তাদের দাবি এ দিনের ওই দুষ্কৃতীদের ঘটনাস্থল থেকে পালানোর জন্য সাহায্য করেছে পুলিশ। তবে এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে বলতে গিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ করেন আইপ্যাকের লোকেরাই নাকি সেখানে অশান্তি করতে এসেছিল। অন্যদিকে এদিনের এই ঘটনার জন্য বিজেপির সাথে বচসায়-ও জড়িয়ে পড়ে পুলিশ।
এসবের মধ্যে গতরাতেই ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটের গণনায় আইপ্যাকের বিরুদ্ধে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ এনেছেন নন্দিগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেছেন বাংলায় ৪০ থেকে ৫০টি বিধানসভা আসন কারচুপি করে তৃণমূলকে জেতানো হয়েছিল। তাই ইভিএম কারচুপি রুখতেই গতকাল নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। পুলিশের হাতে দায়িত্ব না দিয়ে এদিন তিনি নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব নেওয়ার দাবি জানিয়ে এসেছেন।