বাংলাহান্ট ডেস্ক : কখনও এসএসসি কেলেঙ্কারি মামলায় রাজ্যের তাবড় নেতা মন্ত্রীদের জড়িত থাকার অভিযোগ, কখনও আবার চাকরির ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষাধিক টাকার কেলেঙ্কারিতে যুক্ত জেলাস্তরের নেতৃত্ব। বাংলায় চাকরি ‘বিক্রির’ বহর দেখে কার্যতই বীতশ্রদ্ধ হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া কালীন রীতিমতো ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যই শোনা গেল তাঁর মুখে।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হাইকোর্টে মন্তব্য করেন, ‘এবার তো চৌরঙ্গী থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত সাইনবোর্ড ঝোলাতে হবে – সরকারি চাকরি বিক্রি হয় না। মেট্রো রেলে যেমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় রেলের চাকরি বিক্রি হয় না। তেমন ভাবেই কলকাতায় হোর্ডিং দেওয়া দরকার।’
এসএসসি কেলেঙ্কারিতে তোলপাড় রাজ্য। পরেশ অধিকারী থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতন তাবড় নেতা মন্ত্রীদেরও নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই ইস্যুতে উঠে আসা একের পর এক মামলার সারমর্ম যা দাঁড়ায় তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে রাজ্যে শিক্ষক পদে চাকরি নিয়ে রীতিমতো নিলাম চলেছে বিগত কয়েক বছর।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির এক মুখপাত্রের দাবি, ‘লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সব টাকা গিয়েছে তৃণমূলের পকেটে। তৃণমূলের বাড়ির ছেলের থেকেও নেতারা তোলাবাজি করেছে।’ অন্যদিকে সিপিএমের এক নেতার কথায়, ‘এসএসসি-র চাকরি নিলাম হয়েছে। এমনও ঘটনা আছে, প্রথমে একজনকে বলা হয়েছে দশ লক্ষ টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত। সে যখন ঘটিবাটি বিক্রি করে ওই টাকা জোগাড় করে নিয়ে নেতার বাড়িতে গিয়েছে তখন দেখেছে তাকে না করে দেওয়া হয়েছে। কেন? কারণ ততক্ষণে ১৫ লাখে ওই চাকরি কেনার খদ্দের এসে গিয়েছে।’
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরাসরি মুখ না খুললেও তৃণমূলের একাংশের অবশ্য সাফাই, ‘সিপিএমের আমলে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের পরীক্ষাই হয়নি। সেই সময় চাকরি পেয়েছে নেতাদের বাড়ির লোকেরা। তাই ওদের মুখে মোটেই মানায় না এসব কথা।’ আইন আইনের পথে চলবে বলেই দাবি রাজ্যের শাসক দলের।