বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভুল ছিল আবেদন পত্রে, তাই মেলেনি অ্যাডমিট কার্ড। ফলে মাধ্যমিকের আগের দিন রাতেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় এক পড়ুয়া। অবশেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে মিলল সমাধান।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার গার্লস স্কুলের ছাত্রী ওই কিশোরী। এই বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা তার। সেই মতন সারা বছর ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছে সে। এতদিন স্কুল বন্ধ থাকলেও গৃহশিক্ষকদের সাহায্যে মাধ্যমিকের জন্য প্রস্তুত হয়েছে ছাত্রী। দিন কয়েক আগে অ্যাডমিট কার্ড আনতে স্কুলে যায় সে। কিন্তু সেই সময় স্কুলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় আবেদন পত্রে ভুল ছিল। সেই কারণের জন্যই এবছর কোনও রকম ভাবেই পরীক্ষা দিতে পারবে না ওই পড়ুয়া। তাকে একবছর অপেক্ষা করে পরের বছর আবার পরীক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দেয় স্কুল। এই ঘটনাতেই রীতিমতো ভেঙে পড়ে ওই কিশোরী।
এতদিনের পরিশ্রম এভাবে নষ্ট হবে তা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না ওই ছাত্রী। সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহত্যার। শবিবার রাতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। সৌভাগ্যক্রমে তৎক্ষনাৎ ব্যাপারটি নজরে আসে বাড়ির বড়দের। অবিলম্বে উদ্ধার করা হয় তাকে। পরিবারের লোকজনের তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পায় সে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
খবর পেয়ে ওই কিশোরীর বাড়িতে আসেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন কুমার দে। তিনিই পুরো বিষয়টি জানান ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিষয়টি জানার পরই তৎক্ষনাৎ তৎপরতা দেখান অভিষেক। পুরো ব্যাপারটিই মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে জানান তিনি। এরপরই রবিবার রাতেই স্কুলের তরফে অ্যাডমিট কার্ড তুলে দেওয়া হয় ওই ছাত্রীর হাতে। অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেয়ে যেন ধড়ে প্রাণ আসে ওই ছাত্রীর। আজ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারছে সে। যদিও পুরো বিষয়টির ব্যাপারে স্কুলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।