বাংলাহান্ট ডেস্ক : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ঐতিহাসিক জয়ের পর দেশের একাধিক রাজ্যে পা রেখেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। তবে অন্যান্য রাজ্যগুলির থেকেও গোয়াকে একটু বেশিই প্রাধান্য দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সৈকত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে অগণিতবার গোয়ায় গিয়েছেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহুয়া মৈত্রও। কিন্তু গোয়ায় শিকে ছেঁড়েনি তৃণমূলের ভাগ্যে। জোটসঙ্গী গোমন্তক পার্টি ৩টি আসন পেলেও একটিতেও জয় লাভ করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এখনই গোয়ার মাটি ছাড়তে রাজি নয় ঘাসফুল শিবির। আগামী ৫ বছর সে রাজ্যে মাটি কামড়ে মানুষের পাশে থাকার বার্তাই দিলেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফলপ্রকাশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূল গোয়ায় যা করেছে তা বিজেপিও করতে পারেনি। চারটে আসনে আমরা অত্যন্ত কম ব্যবধানে হেরেছি। ভোটের ব্যবধান মাত্র এক হাজার থেকে ১২০০ মতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘গোয়ায় এমন কয়েকটি বিধানসভা রয়েছে যেখানে মাত্র ৩ মাসের মধ্যে ৩০% ভোট পেয়েছে তৃণমূল৷ ‘ তাই আগামীদিনে সংগঠন আরও শক্তিশালী করা হলে যে ভালো ফল নিশ্চিত, এ ব্যাপারে চুড়ান্ত আশাবাদী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
হেরে গেলেও যে গোয়া ছেড়ে পালিয়ে যাবে না তৃণমূল, সে রাজ্যের মানুষের পাশেই থাকবে এমনটাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবি, ‘আগামী ৫ বছর এখানেই মাটি কামড়ে পড়ে থাকব। অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যেই সবটা হয়েছে। তাই হয়ত আমরা অনেক মানুষের কাছেই পৌঁছাতে পারিনি। গোয়ায় ৬% ভোট পেয়েছে তৃণমূল। এটা এভাবে অন্য কোনও দল করে দেখাতে পারেনি। বিজেপিও পারেনি।’ গোয়ার ফলাফলকে ব্যর্থতার বদলে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছেন অভিষেক।
সাগর পাড়ে ঘাসফুল ফোটাতে আপাতত বদ্ধ পরিকর তৃণমূল। ফলে স্বভাবতই গোয়ার ফলাফল নিয়ে আলোচনায় বসবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সৈকত রাজ্যের যুদ্ধের নিয়মে রদবদল আনার দরকার আছে কি না আলোচনা হবে তা নিয়েও। আপাতত ২৭ এর গোয়া বিধানসভাকেও পাখির চোখ করে সেখানেই ঘাঁটি গাড়তে চাইছে তৃণমূল, একথা বলাই বাহুল্য।