বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড ব্রেকিং ভোটে জয়ী হয়েছেন। যদিও এরপর থেকে সেভাবে দেখা যায়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishe Banerjee)। মানিকতলা, রানাঘাট দক্ষিণ সহ রাজ্যের চার বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন আসন্ন, তবে সেক্ষেত্রেও তেমন দেখা মিলছে না TMC সেনাপতির। বরং অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে বিরতি নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন অভিষেক। সেখানে জানিয়েছেন, চিকিৎসার কারণে আপাতত কয়েকটা দিনের জন্য বিরতি নিচ্ছেন তিনি। সাংগঠনিক কাজ থেকেও কয়েকটা দিন দূরে থাকবেন বলে জানিয়েছেন TMC সেনাপতি। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের এই পোস্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চর্চা।
Last year around this time, I had the opportunity to participate in NABOJOWAR Yatra and traveled across West Bengal to understand the issues and challenges faced by people on the ground. Witnessing firsthand the hardships caused by RISING PRICES and the stoppage of MGNREGA dues…
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) June 12, 2024
চোখের চিকিৎসার কারণে এর আগে কলকাতার বাইরে যেতে হয়েছে অভিষেককে। কখনও ভিন রাজ্য, কখনও আবার ভিন দেশে গিয়েছেন TMC সেনাপতি। হায়দ্রাবাদ, সিঙ্গাপুর, আমেরিকায় পাড়ি দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে এবার কীসের চিকিৎসার জন্য বিরতি নিচ্ছেন, সেটা স্পষ্ট করে জানাননি তিনি।
আরও পড়ুনঃ কয়লা পাচার, বালি পাচার নিয়ে কড়া মমতা! ‘ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেব’! কাকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
এদিন অভিষেক লেখেন, ‘জরুরি চিকিৎসার কারণে সাংগঠনিক কাজ থেকে স্বল্প সময়ের বিরাম নিচ্ছি’। দীর্ঘ সেই পোস্টে খানিক স্মৃতিমেদুরও হয়ে পড়েন TMC নেতা। লেখেন, ‘গত বছর সময় নাগাদ নবজোয়ার যাত্রায় অংশগ্রহণ করে গোটা বাংলা ঘুরে দেখার ও মানুষের সমস্যা বোঝার একটা সুযোগ হয়েছিল। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণকে কেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সেই সম্বন্ধেও সম্যক জ্ঞান হয়েছিল। আমায় সেগুলি গভীরভাবে প্রভাবিত করে’।
অভিষেক বলেন, এরই প্রতিবাদ হিসেবে TMC রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ করে। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতা বৃদ্ধি করা হয়। যার ফলে বহু মানুষ স্বস্তি পেয়েছে। দীর্ঘ পোস্টের শেষে তৃণমূল সেনাপতি লেখেন, ‘এই বিরতি আমার কাছে আমাদের মানুষ এবং সম্প্রদায়ের চাহিদাগুলি বোঝার একটা সুযোগ হবে। আমার বিশ্বাস, পশ্চিমবঙ্গ সরকার যথাযথ কাজ করবে এবং যাদের প্রয়োজন তাঁদের জন্য ন্যায়বিচার করতে কোনও কসরত রাখবে না’।