বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ত্রিপুরায় (tripura) তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে বড় কর্মসূচির পরিকল্পনা করে তৃণমূল। ঠিক হয় যার নেতৃত্ব দেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু কোভিডবিধির কারণ দেখিয়ে সেই মিছিলে অনুমতি দেয় না ত্রিপুরা পুলিশ। এমনকি বাতিল করে দেয় বিজেপির মিছিলও। শত বাঁধা সত্ত্বেও সোমবার সকালে আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগরতলার বিমানবন্দরে নামার আগেই সেখানে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয় বিমানবন্দ্র চত্ত্বরে। পুলিশি কুকুর দিয়ে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি সেখানে বাড়ানো হয় নিরাপত্তাও। নামানো হয় CISF, বম্ব স্কোয়াডও।
সোমবার সকালেই বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন এবং এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরা সরকার ভুয়ো আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এভাবে কখনই তৃণমূলকে আটকানো যাবে না’।
এরপর আবার পূর্বে মিছিলে অনুমতি না দিলেও, পরবর্তীতে ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পথসভায় অনুমতি দেয় ত্রিপুরা পুলিশ। আগরতলায় পথসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এরই মধ্যে বোমাতঙ্কের মাঝেই আগরতলা বিমানবন্দরে পা রাখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
সেখানে দাঁড়িয়েই পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র নিন্দা ক্ররা পাশাপাশি আক্রমণ করলেন ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারকেও। তিনি বলেন, ‘সায়নী কি কাজ করেছে, যার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হল? বোমাতঙ্কের বিষয়ে পুলিশের যা করণীয় তা করছে। তবে এভাবে কখনই তৃণমূলকে আটকানো যাবে না। কিছুতেই আমরা মাথা নোয়াবো না’।
প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় না পাওয়ার অভিযোগে আবার দিল্লীতে অমিত শাহর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানোর তোরজোড় করছে তৃণমূল।