‘ত্রিপুরা, গোয়া জিতিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করে দেখাক, নেতা বলে মানব’, অভিষেককে আক্রমণ কল্যাণের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এবার তৃণমূলে বেঁধে গেল অন্তর্দ্বন্ধ। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (abhishek banerjee) বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে দেখা গেল দলীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়কে (kalyan banerjee)। একদিকে অভিষেক যখন ডায়মন্ড হারবারকে মডেল হিসেবে প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করছে, তখন অন্যদিকে তাঁর এই প্রচেষ্টাকে মানতে নারাজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা আবহে নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের কথা চিন্তা করে, সর্বোপরি মানুষের কথা চিন্তা করে, সমস্ত অনুষ্ঠান আগামী ২ মাসের জন্য বন্ধ রাখার কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারের মানুষের জন্য দিয়েছিলেন একগুচ্ছ নির্দেশিকা। কিন্তু দলের নেত্রীর বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁর এমন মন্তব্যকে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মন্তব্য বলেই দাবি করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Kalyan Banerjee PTI 2

তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সমস্ত মন্তব্যকে একদমই আমল দিতে নারাজ শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদটি হল সর্বক্ষণের। সেই কারণেই এই পদে বসার পর কারো কোন ব্যক্তিগত মত আলাদা করে থাকে না’।

নির্দেশের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ছাড়া আর কারো নির্দেশ এবং কাউকে নেতা হিসেবে মানতে নারাজ তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা। অন্যান্যদের পদাধীকারী বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘মমতাই নেতা এবং অভিষেক শুধুমাত্র একজন পদাধিকারী। এখনও অভিষেকের নেতৃত্বের কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। ত্রিপুরা, গোয়া জিতিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করে দিলে, তখন অভিষেককে নেতা বলে মনে করা হবে’।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘অভিষেক সরকার বিরোধী কথা বলছে বলেই আমার মত। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিজের মত ব্যক্ত করাই হল দলের বিরুদ্ধে যাওয়া। আমি নির্বাচনের প্রসঙ্গেও যাচ্ছি না। ২০১১ সালের অনেক আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, কোন পিতৃ পরিচয়ে রাজনীতিতে আসিনি আমি। দল থেকে তাড়িয়ে দিলেও আট লক্ষ টাকা রোজগার করে দেখাব’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর