বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার তিনজন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সাংসদ নাকি যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) সঙ্গে। এবার ইন্ডিয়াতে নেতাদের কাছে এই কথায় জানিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জানা যাচ্ছে যে, টিডিপি এবং জেডিইউ সহ ছোট ছোট বেশ কিছু দল যোগাযোগ শুরু করেছে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে।
ভোটের ফলাফল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গিয়েছ। আর সেখানেই পরিবর্তিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে সমীকরণের। তাই ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলিও আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে যোগসূত্র রাখছেন। বাংলায় তিনজন বিজেপি সাংসদ অভিষেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর। ওদিকে আবার মহারাষ্ট্রসহ অন্যান্য রাজ্যে হঠাৎ করেই বদলে যেতে পারে সমীকরণ।
আরোও পড়ুন : ইস্ কী নোংরা, গা ঘিনঘিনে! এই শহরটিতে শ্বাস নিলেই শেষ! সবথেকে দূষিত এই জায়গাটির নাম জানেন?
উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে নাকি যোগাযোগ রাখছেন একনাথ শিন্ডে শিবিরের সাংসদরা। আজ বিকেলে শরদ পাওয়ার এবং সঞ্জয় রাউতের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে অভিষেকের। তাই এখনো পর্যন্ত খেলা ঘোড়ার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। সেদিন সকালে যাদবের বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিষেক। ডেরেক ও’ ব্রায়েনকেও দেখা যায় সঙ্গে। তাঁদের স্বাগত জানিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান সপা প্রধান। চলে বৈঠক।
আরোও পড়ুন : গরম থেকে মুক্তি! কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝড় বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের এই ৭ জেলায়! রইল তাজা আপডেট
বৈঠকের কয়েক মিনিট পর বেরিয়ে যান অভিষেক। তবে আপাতত জানা যাচ্ছে এটা শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ। ইন্ডিয়া জটের বৈঠকের পরদিন সকালে অভিষেক হঠাৎ কেন অখিলেশের বাড়িতে গেলেন, সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ মুখ হলেন অভিষেক। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে গতকাল ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। রাহুল-অখিলেশের সঙ্গে প্রথম সারিতেই দেখা মিলেছিল অভিষেকের।
ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক শেষ হতেই এদিন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সোনিয়া গান্ধীকে সঙ্গে নিয়ে ঘোষণা করেন, “বিজেপির ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে ইন্ডিয়া জোট”! তিনি বলেন, “সঠিক সময়ে আমরা সঠিক পদক্ষেপ করব এবং বুঝিয়ে দেব যে, মানুষ বিজেপি সরকার চায় না। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। আর মানুষকে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা রাখব।” ওদিকে এনডিএ শিবিরের বৈঠকে সকলের সম্মতিক্রমে নেতা নির্বাচিত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
এনডিএ জোটকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু ও নীতীশ কুমার। সেক্ষেত্রে দুই তরফেই লোকসভার স্পিকার পদের দাবি করেছেন। মন্ত্রিসভায় কমপক্ষে চারজনকে দেখতে চান চন্দ্রবাবু নায়ডু। পূর্ণ মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় পাঁচজনকে রাখার দাবি জানিয়েছে জেডিইউ। নীতীশ-নায়ডু কিন্তু যে কোন সময় খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারেন। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণে শরিক উপর নির্ভর করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।