বাংলা হান্ট ডেস্ক : সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) নবজোয়ার কর্মসূচি উপলক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বুদবুদের মানকর কলেজ সংলগ্ন ময়দানে। তৃণমূল কর্মী দের নিয়ে সভা করার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)।
কিন্তু সভায় তৃণমূল কর্মীরা হাজির না হওয়ায় মঞ্চেই উঠলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোট হওয়ার কথা থাকলেও আউসগ্রাম ব্লকের ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। আউসগ্রামের বিধায়ক এর সাফাই ঝড় বৃষ্টির জন্য তৃণমূল কর্মীরা না আসার কারণেই ভোট দান পর্ব স্থগিত রাখা হয়েছে।
অপরদিকে সভায় তৃণমূল কর্মীদের না আসার কারণ কে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই দায়ী করলেন বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রমন শর্মা। মানাকর থেকে রমন শর্মার দাবি, ‘তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচিতে কিভাবে ব্যালটে ভোট লুট হয়েছিল তা গোটা রাজ্যবাসী দেখেছে। তৃণমূলের গণতন্ত্রকে হত্যা করার প্রবণতা আজ রাজ্যবাসীর কাছে অজানা নেই। যেভাবে তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের ভেতরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। তার মূল কারণ হলো তোলা বাজির জন্য। যে যত তোলাবাজি করবে সে ভোট দানে অংশ নিতে পারবে’।
এরই মধ্যে গতকাল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) রোড শো চলছে তখনই শুরু হল তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। গাড়ি থামিয়ে অভিষেক প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মঙ্গলকোটের জনসভায় যাওয়ার জন্য। কিন্তু প্রবল ঝড়ে ভাতার বাজার আর ভূমশোর গ্রামের মাঝামাঝি আটকে পড়েন। চারিদিকে কার্যত বিপর্যস্ত অবস্থা। দীর্ঘ অপেক্ষার মাঝেই খবর পান বছর ৭০-এর এক প্রবীণ ডায়ালিসিস করিয়ে ফেরার পথে আটকে পড়েছেন ঝড়বৃষ্টি আর যানজটে। ছেলের সঙ্গে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে রোগী তখন কাঁপছেন। পুলিস-প্রশাসনকে বলে দ্রুত সেই রোগীকে সেখান থেকে বের করে মঙ্গলকোটে তাঁর বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন অভিষেক।
সোমবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ফের একবার অভিষেকের দায়িত্ববোধের প্রমাণ পেল ভাতার। যে মানবিকতায় মুগ্ধ দ্বিজপদ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই ডায়ালাসিস রোগী ও তাঁর ছেলে। শুধু ভাতারই নয়, দ্রুত এই ছবি ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য জুড়ে।