বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মেদিনীপুরের মেডিকেল কলেজে বিষাক্ত স্যালাইন কাণ্ডে এক প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য। দিন কয়েক আগেই ওই সরকারি হাসপাতালে পাঁচ জন প্রসূতি সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। ওই ঘটনার কিছু সময়ের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় মামনি রুইদাস নামে একজন প্রসূতির। এছাড়াও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন আরো চারজন প্রসূতি। এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় এবার মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেছেন, ‘গোটা ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। রাজ্য সরকার বিষয়টি দেখছে। ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে।’
স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় সাংবাদিক বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। বুধবার ফলতার সেবাশ্রয় শিবিরে গিয়েছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সেখান থেকেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
আরজিকর কান্ডের সময়েও তাঁর গলায় ধরা পড়েছিল এই একই অসন্তোষ। কড়া ভাষায় এদিন অভিষেক (Abhishek Banerjee) জানিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তও চলছে। মানুষের প্রাণ মণিমুক্তর মত। কারও গাফিলতিতে যদি প্রমাণিত হয়,তাহলে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হবে।’ একই সাথে এদিন তিনি জানিয়েছেন রাজ্য সরকার দলমত নির্বিশেষে ব্যবস্থা নেবে। এর আগেও এই সরকার এই কাজ করেছে এবারও তাই হবে।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক! জেলমুক্তি কবে?
রাজ্যে ইতিমধ্যেই সেই বিষাক্ত স্যালাইন রিঙ্গার ল্যাকটেট-এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। শুধু তাই নয় গোটা ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। এই ঘটনার পর রাজের মুখ্য সচিব মনোজপন্থ,স্বাস্থ্য সচিবকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। মেদিনীপুরের বিষাক্ত স্যালাইন কাণ্ডে অসুস্থ প্রসূতিদের মধ্যে একজনের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং বাকি তিনজন প্রসূতিকে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বিষাক্ত এই স্যালাইন কান্ডের পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও। প্রশ্ন উঠছে কেন নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহার করা বন্ধ করা হয়নি? কেনই বা আগে থেকে কোনো পদক্ষেপ করা হয়নি? এ প্রসঙ্গে অভিষেক জানিয়েছেন, ভবিষ্যত কেউ দেখতে পারে না। কি ঘটবে তা আগে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। কোনো ঘটনা ঘটার পর সরকার, প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিচ্ছে? পুলিশ কি তদন্ত করছে সেটাই আসল ব্যাপার।