বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকালই ত্রিপুরার জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরার চারটি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন জুনের শেষেই। তাই জোরকদমে কাজ শুরু করেছে তৃণমূলও। প্রার্থীদের সমর্থনে গতকাল প্রচার করলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরেই তিনি বিশেষ প্লেনে আগরতলা এসে পৌঁছন। আগরতলার গান্ধীঘাট এলাকা থেকে দলের প্রার্থীদের নিয়ে একটি বিরাট মিছিলের অংশ নেন তিনি।
মিছিলের শেষে স্থানীয় জিবি বাজারে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেকবাবু বলেন, ‘ত্রিপুরায় এক নতুন সূর্যোদয় ঘটানোর জন্য মমতা ব্যানার্জির আদর্শকে সামনে রেখে এবং এই রাজ্যের আপামর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের যাত্রা শুরু হয়েছিল গত বছরের আগস্ট মাসে। এরপর যত দিন যাচ্ছে আরও শক্তিধর হয়ে উঠছে তৃণমূল। বিজেপি ভয় পাচ্ছে তৃণমূলের শক্তিকে। বিজেপি যতই আমাদের আটকানোর চেষ্টা করুক না কেন, লাভ হবে না কিছুই। আমি শরীরে শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও ত্রিপুরার মাটিতে পরিবর্তন আনব।’
এর সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক দাবি করেন, গত নভেম্বরেই তিনি জানিয়েছিলেন বিপ্লব দেবের মুখ্যমন্ত্রিত্বের শেষ সময় চলে এসেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কাজকর্মের জন্য বিপ্লব দেবকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। বিজেপি দলের নৌকা ফুটো হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ অভিযোগ করেন গত চার বছরের বিজেপি শাসনে ত্রিপুরা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর আগে গত ৩৪ বছর এক মানিক রাজ্যকে ধ্বংস করেছে, তারপর চার বছর বিপ্লব দেব ধ্বংস করেছে। এখন এসেছেন আরও এক নতুন মানিক এসেছেন ত্রিপুরাকে নতুন করে ধ্বংস করার জন্য।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছে। ২০২৩ সালেই বিজেপি পরিবর্তন হবে। এরাজ্যের বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। তখন ত্রিপুরাকে বাংলার মতোই ঢেলে সাজানো হবে।’ এরই সঙ্গে আসন্ন উপনির্বাচনে ত্রিপুরার মানুষের সহযোগিতাও প্রার্থনা করেন তিনি।