বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তিনি। এবার সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই জল গড়িয়েছে শেক্সপিয়র সরণী থানা অবধি। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ‘ওএসডি’ তথা অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটির বিরুদ্ধে অভিষেকের নাম করে বাজার থেকে দেদার টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ডে’র নাম করে ‘অনৈতিক কাজ’ করার অভিযোগ উঠেছে মেয়র ফিরহাদের (Firhad Hakim) ‘ওএসডি’ কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন ধরে সরকারি প্রকল্পে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। খোদ অভিষেকের অফিস অফিসের এক অফিসার সেই অভিযোগ করেছেন বলে খবর।
অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নাম করে কালীচরণের টাকা তোলার এই অভিযোগের বিষয়ে জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে ফিরহাদকে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে ববি বলেন, ‘আপনাদের থেকেই আমি জানলাম। আমার ওএসডি-র বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ, তা তো আমাকেই বলা যেতে পারতো। থানায় অভিযোগ করার কী দরকার ছিল? আমি জানলে তো নিজেই বিভাগীয় তদন্ত করতাম’।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডে এবার এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত! তালিকায় কারা? ‘ফাঁস’ হল নাম
এদিকে ফিরহাদের ওএসডির বিরুদ্ধে অভিষেকের অফিসের এক অফিসারের থানায় অভিযোগ জানানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায়, অভিষেক এবং ফিরহাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ অভিন্ন হলেও একাধিক বিষয়ে দু’জনের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তাই এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জলঘোলা শুরু হয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, শেক্সপিয়র সরণী থানা সূত্রে খবর, কালীচরণের বিরুদ্ধে এর আগেও থানায় একাধিক অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি অভিষেককে (Abhishek Banerjee) জানানো হয়। এরপরেই অভিযোগ দায়েরের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়া হয় বলে খবর। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘কালী টাকা তোলে। তিলজলার তৃণমূল ভবন ভেঙে ২০০ কোটি টাকা খরচ করে নতুন অফিস বানানো হচ্ছে। যিনি করছেন কালীকে তাঁকে টাকা তুলে পেমেন্ট করতে হচ্ছে। কালীকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কালীর ৭টা ফ্ল্যাট রয়েছে’।