বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য-রাজনীতির অন্যতম আলোচিত নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন অভিষেক। দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ। বঙ্গ রাজনীতির হেভিওয়েট এই নেতাকে একাধিকবার ভিন্ন ভিন্ন মামলায় সমন পাঠিয়েছে ইডি, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। ঘন্টার পর ঘণ্টা গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদেরও মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। তবুও সিপিএম এবং কংগ্রেসের মতো দলগুলির অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে ED-CBI-র সেটিং রয়েছে।
সত্যিই কী তাই? যেখানে তৃণমূল বারংবার দাবি করে এসেছে ইডি-সিবিআই এর মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি চলে বিজেপির আঙুলের ইশারায়, সেখানে খোদ ঘাসফুল শিবিরকেই কাঠগড়ায় তুলছে বাম-কংগ্রেস! এবার এই ইস্যুতেই মুখ খুললেন অভিষেক। লোকসভা ভোটের মুখে বিরেোধীদের অভিযোগের সপাটে জবাব দিলেন তৃণমূল সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি নিউজ ১৮ বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে বিরেোধীদের অভিযোগকে খারিজ করে অভিষেকের পাল্টা প্রশ্ন, ‘সত্যিই যদি আমার সঙ্গে ইডি, সিবিআই-এর সেটিং থাকে, তাহলে কী আমাকে ১২ বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাবে?
এরপর এই অভিযোগকে ভিত্তি করে সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতাদের একজোটে নিশানা করেন অভিষেক। তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘কারা এসব অভিযোগ
তুলছেন? সুজন চক্রবর্তী? ওনার নাম সারদা কাণ্ডে জড়ানোর পরেও ইডি তলব করেনি। আর অধীর চৌধুরীর নাম সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন নিজে চিঠিতে লিখেছিলেন। ওনাকেও তলব করেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আরও পড়ুন:তালা ভেঙে কৌস্তভ বাগচির বাড়ি থেকে চুরি মামলার জরুরি নথি, হাপিস তিন লক্ষ টাকাও, নেপথ্যে কে?
একই সাথে বিজেপি-কে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, চুরিতে অভিযুক্তরাই বিজেপির সম্পদ। একদিকে প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে বলছেন না খাবো, না খেতে দেবো। ওদিকে ওনার পাশে বসে থাকা মানুষটিকেই হাত পেতে টাকা নিতেই দেখা গিয়েছে। অভিষেক বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই বিরোধীরা সেটিং এর অভিযোগ তুলছেন। তবে তাদের দাবি যে একেব্সরেই ভিত্তিহীন নিজের কথায় সেটাই বুঝিয়ে দেন অভিষেক।