বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার ত্রিপুরায় (Tripura) তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহার উপর হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। সুদীপ রাহার উপর পাথর ছুঁড়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। এমনকি তাঁদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয় এবং তাঁদের উপর ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য একটি লাইভ ভিডিও করে তাঁদের উপর হওয়া হামলার কাহিনীর বিবরণ দেন। এবং গাড়ির উপর হওয়া হামলার ছবি তুলে ধরেন। তিনি ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগও করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, পুলিশের সামনেই বিজেপির কর্মীরা তাঁদের উপর হামলা করে, আর পুলিশ নীরব দর্শকের মতো চেয়ে ছিল শুধু।
এরপর দেবাংশুরা এই হামলার প্রতিবাদে গোটা রাত থানায় অবস্থান বিক্ষোভ দেখায়। আর পুলিশ মহামারী আইনের দোহাই দিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করে। দেবাংশুরা গ্রেফতার হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাংলার তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। আর তাঁদের পাশে দাঁড়াতে ত্রিপুরায় রওনা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরায় পৌঁছেই বিজেপিকে তুমুল আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি খোয়াই থানায় গিয়ে দেবাংশুদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি ত্রিপুরাকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিণত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ভাবছেন ত্রিপুরায় ঢুকতে গেলে ভিসা নিয়ে ঢুকতে হবে। বিরোধীরা রাস্তায় নামতে পারবে না। এখানে গণতন্ত্র বিপন্ন। সরকারকে চ্যালেঞ্জ করলে জেলে ঢোকানো হচ্ছে।”
এরপর হুঁশিয়ারির সুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওনার যত ক্ষমতা আছে প্রয়োগ করুক। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবেই। এখানে আইনের শাসন নয়, শাসনের আইন চলছে। আমরা শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ব। বিজেপিকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না।”