বাংলা হান্ট ডেস্ক : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করেছে সিবিআই (Central Bureau of Investigation)। নোটিস পাওয়ার পরেই বাঁকুড়া (Bankura) থেকে কলকাতার (Kolkata) উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি। শনিবার তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা সিবিআই-র রাজ্য সদর দফতর নিজাম প্যালেসে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও নবজোয়ার যাত্রা বন্ধ করতে দিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee Nabojoyar campaign)।
কী সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা? জানা যাচ্ছে, তৃণমূল দলনেত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শুক্রবার বাঁকুড়ার চক পাত্রসায়রে যে সভায় অভিষেকের যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাতে কলকাতা থেকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভার্চুয়াল বক্তৃতা (virtually) দেবেন।
চক পাত্রসায়রে অভিষেকের যেখানে সভা ছিল সেটি সোনামুখী বিধানসভার মধ্যে পড়ে। দুপুরের আগে থেকেই লোক জড়ো হতে শুরু করে। কিন্তু সিবিআই-র নোটিস পেয়ে কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত নেন অভিষেক। একই ভাবে মমতা সিদ্ধান্ত নেন, তিনিই বক্তৃতা দেবেন ভার্চুয়ালি।
অভিষেক সিবিআইয়ের নোটিস পেয়ে কলকাতায় ফিরছেন, ওদিকে কাঠফাটা রোদের মধ্যে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক বসে রয়েছেন। তাঁদের-সহ গোটা সংগঠনের আত্মবিশ্বাস যাতে টলে না যায় তাই এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন আদালতে একদিকে অভিষেকের আর্জি ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়েছে। তাঁকে সিবিআই তলব করেছে। অপরদিকে, ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাতে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে মমতা নিজের ভাষণে কী বলেন সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায় চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন অভিষেকের আইনজীবী কিশোর দত্ত। তবে শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে মামলা শুনতে রাজি হয়নি বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার থেকে হাইকোর্টে গ্রীষ্মাবকাশ। তার আগে শনি এবং রবিবার ছুটি। শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত মামলা থাকায় এই মামলাটি শোনা সম্ভব নয় বলে জানায় আদালত। প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা ফেরত পাঠানো হয়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার জানিয়ে দেন,’আমি মৌখিক ভাবে বলছি, উপায় না থাকলে আপনারা অবকাশকালীন বেঞ্চে যেতে পারেন।’