বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা থেকে বাংলা বারবারই বঞ্চিত হয়েছে, এমন অভিযোগ বহুবার প্রকাশ্যে এনেছেন বঙ্গের তৃণমূলের নেতারা। এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরোও শক্তিশালী করে তুলতে কোমর বেঁধে মাঠে নামছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) সভা থেকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় যেন সেই ইঙ্গিতকেই স্পষ্ট করলেন।
সভামঞ্চ থেকেই অভিষেক সাফ জানান, যারা যারা ১০০ দিনের কাজে সুযোগ পান নি, তারা এক কোটি মানুষের সই সংগ্রহ করে এক মাস পর ৫০ হাজার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি অভিযান করবেন। পাশাপাশি তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে এদিন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘বাজারে, হাটে, চায়ের দোকানে বিজেপির লোকজনকে দেখলেই ঘিরে ধরুন।’ সব মিলিয়ে বলা যায়, নমো সরকারকে একহাত নেন অভিষেক।
বিজেপির সঙ্গে যুক্ত লোকজনকে ঘিরে ধরে কী করতে হবে সেকথাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের কথায়, ‘ওদের ঘিরে ধরে হাত জোড় করে বলুন, তোমাদের নেতাদের বলো ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে। কেন বাংলার মানুষকে ভাতে মারছ? দেখুন কী হয়!’ পাশাপাশি অভিষেকের আরোও সংযোজন, ‘অনেক ভাল কথা হয়েছে। আর নয়। ওরা যে ভাষা বোঝে এবার সেই ভাষাতেই ওদের বোঝাতে হবে।’
তবে, তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই ঝাঁঝালো বক্তব্যকে অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। গেরুয়া শিবিরের এই পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদের কথায়, ‘অভিষেক এ ভাবে দলকে তাতাতে চাইছেন। কিন্তু ওঁদের কর্মীরাও জানেন হাটে বাজারে তৃণমূল দেখলেই লোকে চোর চোর বলছে। ওরাই ঘেরাও হয়ে রয়েছে। তারা আবার কী ঘেরাও করবে?’
বঙ্গের শাসক শিবির যখন গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করছে, ঠিক তখনই রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, অভিষেক (Abhishek Banerjee) দিল্লির উপর চাপ সৃষ্টি করার পাশাপাশি কেন্দ্রের শাসকদলকে বাংলার বুথ স্তরেও জনমানসে লজ্জা দিতে চাইছেন। আর এই জোড়া অস্ত্রের প্রয়োগকেই আপাতত ঘাসফুল শিবিরের সাংগঠনিক অভিমুখ বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।