বাংলা হান্ট ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বিরাট পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাস থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির সমস্ত মামলা সরানোর নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)। মামলাগুলি অন্য বিচারপতির বেঞ্চে স্থানান্তরের জন্য হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পি নরসিংহের বেঞ্চ।
স্বাগত জানালেন অভিষেক : বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিষেক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই বিষয়টি বিচারাধীন, বেশি কথা বলব না। তবে তৃণমূলের যদি কেউ এই কেলেঙ্কারিতে যুক্তে রয়েছে বলে প্রমাণ মেলে, তাহলে দলই সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর। একমাত্র তৃণমূলই গোটা দেশের মধ্যে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে।’
কী বললেন অভিষেক? এই মুহুর্তে উত্তরবঙ্গে নিজের জনসংযোগ যাত্রায় রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় চলাকালীন খবর শুনে অভিষেকের বক্তব্য, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালতের উপর ভরসা বরাবরই ছিল, আছে। আমরা আগেও বলেছি, পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা রাজ্য যেখানে নির্বাচনে ধাক্কা খেয়ে বিজেপি বিচারব্যবস্থার একাংশকে কাজে লাগাচ্ছে বাংলার বিরুদ্ধে। গত ২৪ মাসে পশ্চিমবঙ্গের নানা বিষয়ে ২৬ ইডি কিংবা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের তরফে। আর তা চ্যালেঞ্জ করে আমরা যখনই গিয়েছি সুপ্রিম কোর্টে, তখন শীর্ষ আদালত তার বেশিরভাগই খারিজ করে দিয়েছে।’
অভিষেক আরও বলেন, ‘এই বিষয়টি বিচারাধীন, বেশি কথা বলব না। তবে তৃণমূলের যদি কেউ এই কেলেঙ্কারিতে যুক্তে রয়েছে বলে প্রমাণ মেলে, তাহলে দলই সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর। একমাত্র তৃণমূলই গোটা দেশের মধ্যে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে।’
অভিষেকই দায়ের করেন মামলা : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক বিষয় নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন গত বছর। তাতে মামলাগুলি নিয়ে নিজের মতামতও জানান তিনি। আর এই বিষয়টি বিচারব্যবস্থার নজরে আনেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই প্রথম এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এরপর সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে মামলা করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং কপিল সিব্বলরা।