বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘ওঁনার জায়গায় আমি থাকলে বিজেপি কর্মীদের মাথার মাঝখানে গুলি করতাম’; এদিন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এসি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) পৌঁছে যান তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর সেখান থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে এভাবেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গতকাল বিজেপির ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা বাংলার পরিস্থিতি। দিকে দিকে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধর এবং পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। একইভাবে, কলকাতা পুলিশের এসি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বর্তমানে জখম অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দেবাশিসবাবু। এদিন তাঁকে দেখতেই হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। পরবর্তীতে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বাইরে বেরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রথমে লাউড স্পিকার এবং পরবর্তীতে খালি গলায় ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “গতকাল বিজেপি কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে নেতারা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার জন্যই আন্দোলনে নামে আর যদি তা নাই হয়, তাহলে পুলিশের গাড়ি চালানোর জন্য যে পেট্রোলের প্রয়োজন পড়ে, তা কোথা থেকে পেল ওরা? আসলে বিরোধীরা যদি আক্রমণ করে, তবে বিজেপি কিংবা সিপিএম সেই আন্দোলনে গুলি পর্যন্ত চালাতে দ্বিধাবোধ করে না। আমরাও গতকাল গুলি চালানোর দ্বারা ৫ মিনিটে ওদের আন্দোলন সমাপ্ত করতে পারতাম। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সেই মতাদর্শে বিশ্বাসী নয়।”
এরপরেই তৃণমূল নেতা বলেন, “দেবজিৎবাবু যে সহ্য শক্তি দেখিয়েছেন, তাকে কুর্নিশ জানাই। আমি যদি ওঁনার জায়গায় থাকতাম, তাহলে বিজেপি কর্মীদের মাথার মাঝখানে গুলি করতাম। যারা এহেন কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।”
একইসঙ্গে এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে ঢোকার মুহূর্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে পুলিশ কর্মীদের স্যালুট করতে দেখা যায় আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বর্তমানে একের পর এক প্রশ্ন চিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিষেককে পুলিশ কর্মীরা কেন স্যালুট করবেন, তা নিয়ে বর্তমানে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন অনেকেই।