বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির নজরে এবার গোটা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। আগামী ৯ অক্টোবর সোমবার, ফের তলব করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Abhishek Banerjee)। সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার জন্য তলব করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদকে।
অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আগামী সপ্তাহে ৯ অক্টোবর হাজিরার জন্য তলব করেছে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদের অভিষেক মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৬ অক্টোবর ও বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৭ অক্টোবর জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। সবমিলিয়ে ইডির (ED) স্ক্যানারে অভিষেকের গোটা পরিবার।
দিল্লিতে দুদিন তৃণমূলের ধর্নার পর কলকাতায় ফিরে বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। আর সেখানেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, ‘ইডির তলবের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। সেসব নিয়ে কিছু বলবো না। আমি ইডিকে কী জবাব দেব সেটা সংবাদমাধ্যমে বলব না।’
অভিষেক বলেন, “আদালত বিচারব্যবস্থা আমাকে একাধিক মামলায় রক্ষাকবচ দিয়েছে। তাই এবার নতুন মামলায় আমার নাম জড়ানো হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ থাকলে আদালতে জমা দিন। আমি তো আগেও বলেছি। তবে সেটা করতে পারছে না। কেন? আমরা পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেব সেটা সবাই দেখতেই পারবেন।’
আরও পড়ুন: সাতসকালে নবান্নে তুমুল আতঙ্ক, ভয়ে কাঁটা কর্মী-আমলারা! মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে কার ‘হানা’?
অন্যদিকে, ইডি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Abhishek Banerjee) একজোটে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘ইডিকে আমি যা লিখে পাঠাচ্ছি, সেটা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করছেন। আমার আর তদন্তকারী সংস্থার মধ্যে কী চিঠি বিনিময় হয়েছে সেটা শুভেন্দু জানাচ্ছেন। এর একটা CBI বা ED তদন্ত হোক।” এই বিষয়ে আগামী দিন সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলেও হুঙ্কার অভিষেকের।
অভিষেকের অভিযোগ, “রাজনৈতিকভাবে লড়তে না পেরে এই সব করছে। আমার পরিবারকে ডাকলে আমি আত্মসমর্পণ করব, এটা যদি বিজেপি ভেবে থাকে তাহলে ভুল। নরেন্দ্র মোদীর যা জেদ, আমরা জেদ তার দশগুণ। বাংলার সাধারণ মানুষের অধিকার দিল্লি থেকে ছিনিয়ে আনব। আমি কোনও তদন্তকারী সংস্থা নয়, সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করছি।” অভিষেকের কথায়, ‘দুদিন দিল্লিতে যা হয়েছে তা ছোটো ট্রেলার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দু’মাস পর পুরো সিনেমাটা দেখাব।’