বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ অভিষেকের, প্রভাব পড়তে পারে বিরোধী ঐক্যে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশে দিল্লিকে পাখির চোখ করেছেন মমতা। সেই সূত্র ধরেই ইতিমধ্যেই বিরোধী ঐক্যের সলতে পাকানোও শুরু হয়ে গিয়েছে। একদিকে যেমন দিল্লি গিয়ে একাধিক রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি কথা বলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তেমনই আবার অন্যদিকে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছেন একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু এরই মাঝে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড অভিষেক ব্যানার্জীর কথার সূত্র ধরে শুরু হলো ছন্দপতন।

কয়লা কাণ্ডে ইডির জেরায় সহায়তার জন্য দিল্লিতে গিয়েছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। জেরা শেষে বেরিয়ে আসার পর সোজাসুজি সংবাদমাধ্যমের সামনে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতা। কিন্তু এই বক্তব্যের মাঝেই কার্যত কংগ্রেস বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে বলেও দাবি করে বসেন তিনি। তিনি বলেন, “কংগ্রেস বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো বিজেপি যদি ভাবে তৃণমূলও ভয় পেয়েছে, মাথা নত করবে অথবা পরাজয় স্বীকার করে নেবে তবে তাদেরকে বলতে চাইছি তৃণমূল নতুন উদ্দীপনায় কাজ করছে। সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্যে আমরা শাখা বিস্তার করছি। যা পারেন করে নিন।”

তার এই মন্তব্য ঘিরে এখন স্বাভাবিক ভাবেই আলোচনা তুঙ্গে কংগ্রেসের অন্দরে। ইতিমধ্যে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীর বাবু বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য ভীষন আপত্তিকর। এতে বিজেপিরই সুবিধা হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার স্পিরিট তৃণমূলের থাকতে পারে, কিন্তু কংগ্রেসকে অপমান করার অধিকার তাকে কেউ দেয়নি। অনভিজ্ঞ লোকজনই এরকম নিজের ঢাক নিজে পেটায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিজ্ঞ নেত্রী এই ধরনের মন্তব্য করতেন না।” শুধু তাই নয় তিনি এও বলেন অভিষেকের এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির। না হলে পরবর্তী ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়তে পারে বিরোধী ঐক্যে।

vsdvvsjh

পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে তা সামাল দিতে এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, একজনের মন্তব্য কখনও বিরোধী ঐক্যে প্রভাব ফেলতে পারে না। অভিষেক মূলত বার্তা দিতে চেয়েছেন যে, বিজেপির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তৃণমূল মাথা নত করবে না। সৌগত রায় একথা বললেও বিরোধী ঐক্যের তাল যে কিছুটা কাটল তা বলাই বাহুল্য।

 


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর