বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ইসকনের সন্ন্যাসী তথা সনাতন জাগরণ জোট সংগঠনের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপর থেকেই ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ। ইসকনের সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন।
বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)
চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর গ্রেফতারির পর থেকে উত্তাল গোটা বাংলাদেশ। গত দুদিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সংঘর্ষ চলাকালীন আইনজীবির মৃত্যু গোটা ঘটনা যেন ‘ঘৃতাহুতি’র কাজ করেছে। এবার বাংলাদেশের বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়েছে এপার বাংলাতেও। ইসকনের সন্ন্যাসীর চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই কলকাতার রাস্তায় প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি।
বাংলাদেশ ইস্যুতে ইতিমধ্যেই ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে সৌগত রায়ের মতো নেতারা বাংলাদেশ ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এবার এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। যেহেতু বিষয়টি আন্তর্জাতিক তাই এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই দল সমর্থন করবে বলেই জানিয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।
দিল্লি থেকেই এবিষয়ে নিজের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আমরা এ বিষয়ে বার বারই অবস্থান স্পষ্ট করেছি, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার যে অবস্থান নেবে, দলগতভাবে তার পাশে থাকব। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যা ঘটেছে, অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুর্ভাগ্যজনক।’
আরও পড়ুন: মাছি গলতে পারবে না! নবান্নের পাশেই, তৈরি হচ্ছে রাজ্য পুলিশের ‘বিশেষ কক্ষ’
এ প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘আমরা মানুষের পাশে রয়েছি। বাংলাদেশে যেটা হয়েছে, সেটা কাম্য নয়। বাংলাদেশ বাংলার একটা অংশ। আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতার পথে থাকি। বাংলাদেশে এর আগে যে সরকার ছিল, তারা ধর্ম নিরপেক্ষতার পথে ছিল বলে পরিস্থিতি অনেক ভাল ছিল।’
অন্যদিকে সৌগত রায় বলেছেন, ‘এটা রাজ্যের বিষয় নয়। কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে।’ যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খোলেননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত বাংলাদেশে পরিস্থিতি উত্তাল হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যেই ইউনুস সরকার ও নয়াদিল্লির মধ্যে চিঠিচাপাটি শুরু হয়েছে। তাছাড়া বাংলায় বিজেপির তরফে বুধবার বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।