বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের অলিন্দে নবীন বনাম প্রবীণের দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। এরই মধ্যে দলও নবীনদের তুলনায় বেশি গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে প্রবীণদেরই। যা সম্প্রতি আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকে। যা নিয়ে দলের অন্দরে চাপানউতোর চলছিল অনেক দিন ধরেই।
শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির দায়িত্বে থাকা প্রবীণদের উদ্দেশ্যে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বার্তা
এরই মধ্যে এ প্রসঙ্গে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) মন্তব্য আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করেছে। গতকাল ডায়মন্ড হারবারে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ডাক্তারদের নিয়ে ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচি করেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সেখানেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন দলের সিদ্ধান্তই শিরোধার্য। তবে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন আগামী দিনে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত সোমবার তৃণমূলের জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠক থেকে। কালীঘাটের ওই বৈঠকে দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় জোর দিতেই সাংসদ বিধানসভা ও দলীয় স্তরে তিনটি শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করেছে দল। সেখানে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। দলের বিভিন্ন কমিটিতে স্থান পেয়েছে প্রবীণরাই।
আরও পড়ুন: নজরে স্বাস্থ্য! এবার কলকাতায় ৫ হাজার ডাক্তার নিয়ে কনভেশন, দিনক্ষণ জানালেন অভিষেক
এদিন এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের এই পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দল মনে করেছে, দল শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তৈরি করেছে। পার্লামেন্টের জন্য আলাদা কমিটি তৈরি করেছে, পরিষদীয় দলের বিধানসভার জন্য একটা আলাদা কমিটি তৈরি করেছে। যাঁদের যোগ্য মনে করেছে, তাঁদের জায়গা দিয়েছে। তাঁরা কতটা যোগ্য, কতটা দক্ষ, আগামি দিনে তাঁদের প্রমাণ করতে হবে’।
শুধু প্রবীণদেরই নয় সদ্য দায়িত্ব বেড়েছে তৃণমূল সেনাপতিরও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আগেই ছিলেন অভিষেক। তবে কর্মসমিতির বৈঠকের পর তাঁকে দিল্লিতে দলের মুখপাত্রও করা হয়েছে। নতুন দায়িত্ব পেয়ে অভিষেক জানিয়েছেন, ‘আমি যখন দায়িত্ব পেয়েছি, সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। সম্মুখ-সমরে লড়াই করেছি। সাংগঠিক দায়িত্বে আমি যখনই ছিলাম, দল যে দায়িত্ব দিয়েছে। নির্বাচনের সময়ে, আমি করেছি। আমি মনে করি দলের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য।’