বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর (Sujoy krishna Bhadra) সূত্র ধরে সামনে উঠে এসেছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। এবার লোকসভা ভোটের আগে নিজের অফিসের কর্মচারী সেই কাকুকে নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড।
ইডি সূত্রে খবর, কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর এবার অবশেষে কলকাতা হাই কোর্টে তার ফরেন্সিক রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে ইডি (Enforcement Directorates)। আগামী ২২ এপ্রিল, সোমবারই সেই রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে তারা। ‘কালীঘাটের কাকু’র ফোন কল রেকর্ডের সঙ্গে তার কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলে গিয়েছে বলে ইডির একটি অসমর্থিত সূত্র তরফে দাবি করা হয়েছে। এবার এই ইস্যুতেই উল্টো প্রশ্ন তুলে দিলেন অভিষেক।
বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন অভিষেক। সেখানে সংবাদমাধ্যম তরফে তজে প্রশ্ন করা হয়, ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে কালীঘাটের কাকুর ফোন কল রেকর্ড এবং যে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল তা মিলে গিয়েছে। এরই উত্তরে অভিষেক বলেন, ‘‘সেটা ইডি এবং কোর্টের বিষয়। আমি এখানে কী বলব?’’
অভিষেক আরও বলেন, ‘‘যার সঙ্গে (সুজয়কৃষ্ণের) কথা হয়েছিল, তাকে ইডি গ্রেফতার করেছে কী?’’ পাল্টা সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, কার সঙ্গে কথা হয়েছিল? অভিষেকের বলেন, ‘‘তা আমি কেন বলব? সেটা ইডি বলবে।’’ প্রসঙ্গত, এই সুজয়কৃষ্ণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্মচারী ছিলেন বলে নিজেই জানিয়েছিলেন অভিষেক। এদিকে গ্রেফতারির আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিষেককে ‘সাহেব’ বলেও সম্বোধন করেন সুজয়কৃষ্ণ।
আরও পড়ুন: ১০০ দিনের টাকা নিয়ে দুর্নীতি! ভোটের মুখে TMC নেতাদের চরম ‘শিক্ষা’ দিলেন গ্রামবাসীরা!
গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে বিরাট টানাপোড়েন চলেছিল। বহু মাসের চেষ্টা করেও ইডি কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারেনি। এরপর গত ৪ জানুয়ারি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার কড়া নির্দেশের পর মধ্যরাতে এসএসকেএম থেকে কাকুকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। সোমবারই সেই রিপোর্টই আদালতে পেশ করতে চলেছে ইডি।