বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা সংকটের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) যোগী (Yogi Adityanath) সরকার নিল এক বড় সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের জেরে আকাশ থেকে পড়লেন প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষ। এই মহামারির দিনে তাঁর এই ঘোষণা অনেকেরই রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। মঙ্গলবার দিন তাঁর এক নতুন আদেশ জারী করা হয়েছে।
করোনা রুখতে পিতার শেষকৃত্যেও যোগ দিতে যাননি যোগী আদিত্যনাথ
মহামারি রুখতে প্রথম থেকেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নাম সবার প্রথমেই ছিল। করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রকোপ থেকে রাজ্যবাসীকে রক্ষা করবার জন্য তিনি বিভিন্ন রকম পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশকে এক মডেল রূপে প্রতিস্থাপিত করেছেন তিনি। এমনকি এই দুঃসময়ে বার্ধ্যক্যজনিত কারণে তাঁর পিতার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েও, তিনি তাঁর শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাননি।
৬ ধরণের ভাতা বাতিল করল যোগী সরকার
এতকিছুর মধ্যেও মঙ্গলবার তাঁর এক গৃহিত সিদ্ধান্তের জেরে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষের। প্রায় ৬ টি ভাতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। যার জেরে অসন্তোষ দেখা দিল রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের মধ্যে। এমনকি কর্মচারীরা অভিযোগ করেছে, সরকার তাঁদের এই প্রাপ্য ভাতা বাতিল করে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারবে।
জেনে নিন কোন কোন ভাতা বাতিল করা হল
নগর প্রতিকার ভাতা, পিডব্লিউডি কর্মীদের ভাতা, আন্ডার ইঞ্জিনিয়ারদের ভাতা এবংসচিবালয়ের ভাতাসহ আরও কিছু ভাতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ সরকার।
নগর প্রতিকার ভাতা- এক লক্ষ বা তাঁর বেশি সংখ্যাক মানুষ বসবাসকারী অঞ্চলের সমস্ত রাজ্য কর্মচারী এবং শিক্ষকদের এই ভাতা দেওয়া হত। রাজ্য কর্মীদের ক্ষতিপূরণ ভাতা দেওয়া হয় প্রতি মাসে ২৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা করে দেওয়া হত।
সচিবালয় ভাতা- নিযুক্ত স্তর থেকে বিশেষ সচিব স্তরের কর্মচারীরা প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। রাজস্ব কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার পর্যন্ত সমস্ত কর্মীদেরকেও এই ভাতা দেওয়া হত।
মহার্ঘ্য ভাতাও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল
এর আগে গত মাসের শুরুর দিকে উত্তরপ্রদেশ সরকার মহার্ঘ্য ভাতাও নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কর্মচারী ও পেনশন হোল্ডাররা ডিএ পাবেন না। পাশাপাশি জানিয়েছিলেন ২০২০ সালের ১ লা জানুয়ারি থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত কর্মচারীদের মূল্যবৃদ্ধি ভাতা বন্ধ রাখা হবে।