বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘পাত্রী চাই’, বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরও মিলছে না বিবাহযোগ্য কন্যা। আইবুড়ো হয়ে বসে রয়েছে প্রায় ৩ কোটি পাত্র। চীনের (china) এক সমীক্ষায় এমনই এক অবাককর তথ্য সামনে এসেছে। যেখানে হিসেব করে দেখা গেছে, প্রায় ৩ কোটি যুবক বিয়ে করতে চাইলেও, বিয়ের জন্য তাঁদের পাত্রীর আকাল পড়েছে।
সূত্রের খবর, জনসংখ্যা সুমারি অনুযায়ী চীনে ২০১০ সালে জন্মগ্রহণ করা পুত্র এবং কন্যার আনুপাতিক হার ছিল ১১৮.১:১০০। কারণ প্রথম থেকেই চীনে পুত্র সন্তানদের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হত। কন্যা সন্তানকে প্রাধান্য না দেওয়ায় আজকে এই করুন দৃশ্য দেখতে হচ্ছে চীনবাসিকে।
১৯৭৯ সালে চীনে একসন্তান নীতি কার্যকর হলেও, ২০১৬ সালে সেই আইন বাতিল করা হয়। পূর্বে চীনে মহিলা প্রতি সন্তানধারণের হার ছিল ১.৩। কিন্তু পরবর্তীতে সামঞ্জস্য রক্ষার্থে তা বাড়িয়ে করা হয় ২.১। এইভাবে চলতে থাকায়, গতবছর চীনে ১ কোটি ২০ লক্ষ সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সময়ের অবকাশে সেখানে কন্যা সন্তানদেরও প্রাধান্য দেওয়া শুরু হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে গতবছর জন্মগ্রহণ করা পুত্র কন্যার আনুপাতিক হার ছিল ১১৩.৩:১০০।
কন্যা সন্তানের সংখ্যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেলেও, সমীক্ষা বলছে গতবছরে জন্ম নেওয়া প্রায় ৬ লক্ষ পুত্র সন্তান তাঁদের বিয়ের সময় পাত্রী পাবেন না। আরও জানা যাচ্ছে, চীনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পুরুষরা অপুষ্টি ও দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে, বিয়ের সময় বিবাহযোগ্যা মেয়ে পাচ্ছেন না। তবে আশা করা যাচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই সমস্যার সমাধানের পথও পাওয়া যাবে।
এক চীনা গবেষকের কথায়, ‘চীনে পুরুষের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা কম হওয়ায়, সেখানকার ছেলেরা তাঁদের থেকে অনেক কম বয়সী মেয়েদের বিয়ের জন্য বেছে নিচ্ছেন’।