বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশের রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কে (Public Sector Bank) পড়ে রয়েছে কোটি কোটি দাবিহীন টাকা (Unclaimed Deposit)। দিনদিন বেড়েই চলেছে এই দাবিহীন অর্থের পরিমাণ। কোনও দাবিদার নেই এমন টাকার পরিমাণ ৪২ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও সরকারি তথ্যে এই পরিসংখ্যানই উঠে এসেছে। একই সাথে সরকারি তথ্য আরও বলছে, গত এক বছরে এই পরিসংখ্যান প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্রের খবর, দাবিদারহীন এই বিপুল অর্থের মধ্যে রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কের হাতে রয়েছে ৩৬ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির হাতে জমা রয়েছে ৬,০৮৭ কোটি টাকা। তবে এই পরিসংখ্যান দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিগত পাঁচ বছরে প্রায় আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে দাবিদারহীন অর্থের পরিমাণ।
আসলে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, গত ১০ বছর যে সব সেভিংস অ্যাকাউন্টের গচ্ছিত টাকায় আমানতকারীরা হাত দেননি বা ১০ বছরের মধ্যে এই টাকা দাবি করা হয়নি সেই অঙ্কগুলিকে ‘আনক্লেমড ডিপোজিট’ বলে ঘোষণা করা হয়। এবং অর্থ মন্ত্রকের দেওয়া নথি অনুযায়ী, ২০০০ সালে এই দাবিহীন অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৩৫ কোটি টাকা যেখানে চলতি অর্থবর্ষে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন : মহিলাদের জন্য বাম্পার অফার BOB-র, অ্যাকাউন্টে মিলবে ২৫ লাখ, অফার সীমিত সময়ের জন্য
গত বছরই অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবৎ কে কারাদ বলেন, ‘দাবিহীন অর্থের অঙ্ক কমাতে এবং তা সঠিক দাবিদারের কাছে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।’ বিগত কয়েক বছর ধরেই সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়ে প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের ওয়েবসাইটে এই দাবিহীন অর্থের অঙ্কের তালিকাও প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন : দোলের মুখে মেগা উপহার! এক ঝটকায় বেতন বাড়ল ১৭ শতাংশ, এই কর্মীরা পাবেন বিশেষ সুবিধা
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়েছে, এই টাকার যোগ্য উত্তরসূরি টাকার দাবি করলে তা যেন উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আইনসম্মতভাবে অ্যাকাউন্টের মালিকের উত্তরসূরীর হাতে আমানত তুলে দেওয়ার জন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যদি এক দশক বা তার বেশি সময় ধরে এইসব অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় পড়ে থাকে তাহলে এই টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিপোজিটর এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ফান্ডে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়।