বিগত ১ বছরের দুর্বল হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলির কারেন্সি, পাকিস্তানের অবস্থা সবথেকে শোচনীয়

ভারতের  আরথিক অবস্থা এই মুহুর্ত খারাপ হওয়ার কারনে বিগত ১ বছরের দুর্বল হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলির কারেন্সি। মুদ্রাস্ফিতি হওয়ার কারনে এশিয়ার মধ্যে ভারতে  পয়সার মান অনেক কমে গেছে। গত ৩ আগস্ট এক মার্কিন ডলারের (ইউএসডি) বিপরীতে ভারতীয় টাকার দর নিচে নেমে সবচেয়ে বেশি, ৭২ দশমিক ৪১ রুপিতে গিয়ে ঠেকে।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে সর্বোচ্চ দরপতন ঘটলে ১ ডলার সমান ৭৪ দশমিক ৪৮ রুপি হয়েছিল। অবশ্য পরে ৪ সেপ্টেম্বর ডলারের বিপরীতে রুপির দর ২৭ পয়সা বাড়লেও আবারও কমার আশঙ্কা রয়েই গেছে। পাশাপাশি দেখা গেছে এদেশে জিডিপি কমেছে, শেয়ার বাজারেও চলছে খারাপ অবস্থা। এছাড়াও টাকার  দুর্বলতার প্রভাব ভারতের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার দামও বাড়ছে। আমদানি বাণিজ্যেও বিরাট ধাক্কা খাচ্ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

 

II2তবে স্থানীয় রপ্তানিকারকেরা লাভবান হচ্ছেন। আসলে চলতি বছরের আগস্ট থেকেই ভারতীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন শুরু হয়। গত দুই মাসে  টাকার মান কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। এক দিকে  চীনের মুদ্রা ইউয়ানের দর কমছে, অন্যদিকে ভারতীয় মুদ্রার । আসলে দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। কারণ, সবাই ইউয়ানকে লক্ষ করছে। সবাই একটি আপেক্ষিক অবস্থান ধরে রাখতে চাইছে। এমন অবস্থায় ভারত ও চীন থেকে আমাদের আমদানি বাড়বে।

এমনিতেই আমাদের সিংহভাগ আমদানি হয় এই দুই দেশ থেকে। ফলে বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা বাড়বে। এ ছাড়া ইউরোপ ও অন্যান্য জায়গাতেও আমাদের রপ্তানির অবস্থান খারাপ হবে। কারণ, ওদের মুদ্রারও অবমূল্যায়ন হচ্ছে। ফলে আমাদের পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। অথচ ওদের পণ্যের দাম বাড়ছে না।  আবার অন্যদিকে পাকিস্তানের অবস্থাও খারাপ।  সব মিলিয়ে এখন দেশের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। কারন এভাবে চলতে থাকলে দেশের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে এগোবে।


সম্পর্কিত খবর