লাদাখ নিয়ে চিন্তামুক্ত সাংসদ, ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত

লাদাখ নিয়ে আগে থেকেই অনেক বাধা চিন্তা ছিলো। তার পাশাপাশি লাদাখে ৩৭০ ধারা থাকায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর যে লাদাখে এতোদিন কোনও মানুষ সেখানে যাওয়া আসা করেন নি তবে এখন লাদাখ উন্মুক্ত। লাদাখবাসী ভালই বুঝতে পারছিলেন যে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে লাদাখের পাহাড় ও জমির নিচে থাকা খনিজ সম্পদ এতোদিন তোলা সম্ভব হয়নি।

পাশাপাশি শুধু কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই নয়, লাদাখকে ভারতীয় সংবিধানের ২৪৪ ধারা মেনে ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগের বছর থেকেই লাদাখের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠছিলো । আর তার মধ্যে ৩৭০ন ধারা নিয়েও মানুষর মধ্যে চাপা উত্তেজনা দেখা দিচ্ছিলো।জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ এই দুটো ভাগে ভাগ করা হয়েছিলো। আর   ৩৭০ ধারা রদ করে কাশ্মীর উপত্যকাকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার পর মানুসষে মধ্যে এই অশান্তির আঁচ দেখতে পাওয়া যায়।

AL 02

 

 

এই বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া পর থেকে লাদাখের ভবিষ্যত্‍ নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন অনেকে। বহির্জগতের অবাধ বিচরণে নষ্ট হবে না তো লাদাখের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য? এই সংশয় উঁকি দিচ্ছিল। কিন্তু  অবশেষ সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেখা দিয়েছে কিছুটা শান্তির মহল। কিন্তু এই সমস্যার হালের সুরাহা হয়েছে যার হাত ধরে তিনি হলেন লাদাখের সাংসদ সোনম ওয়াংচুক। লাদাখ অঞ্চলে ‘শিক্ষা বিপ্লব’ এনে প্রচারে আসেন সোনম।

তারপরেই এই প্রভাব লক্ষ করা হয় এবং বাস্তব রুপ পায়। সৌন্দর্য রক্ষার জন্য গত ২৪ জানুয়ারি উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রক লাদাখকে ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। তাতেই কিছুটা হলেও কাজ হয়েছে বলে মনে করছেন লাদাখবাসী। শিল্পের হাত থেকে লাদাখকে বাচানোর জন্য তিনি আপ্রান চেস্টা জরে গেছেন এবং তা বাস্তবে কাজে দিয়েছে বলে তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত খবর