হায়দ্রাবাদে হতে চলেছে বিশ্বের সবথেকে বড় মেডিটেশন সেন্টার। এই মেডিটেশন সেন্টার উদব্োধন হতে চলেছে চলতি বছরের ২৮ শে জানুয়ারি। আমাদের দেশে এরক অনেক মানুষ আছেন যারা ধ্যান করতে ভালোবাসেন। তারা প্রায়দিন নিজেদের বাড়িতে নিয়ম করে ধ্যান করে থাকেন। তার পাশাপাশি মন্দিরে গিয়েও তারা ধ্যান করে থাকেন। আর এই মেডিটেশন সেন্টার উন্মোচনের দিন সেখানে হাজির থাকবেন রামদেব বাবাজি।
প্রসঙ্গত ধ্যানের মাধ্যমে আমরা আরোও মাথার চাপ কমাতে পারি , হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, যারা ধ্যানমগ্ন মনোবৃত্তির অনুশীলন করতেন তাদের মস্তিষ্কের মাত্রা কম হতো না, তারা মস্তিষ্কের চারটি ভিন্ন অঞ্চলে আরও বেশি ভলিউম বিকাশ করে। এছাড়াও যারা নিয়মিত ধ্যানমগ্ন নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যসম্মত, শারীরিকভাবে চলতে থাকে, কারণ তাদের ইমিউন সিস্টেমগুলি শক্তিশালী । ধ্যানের মাধ্যমে নিজের প্রতি নিজের একটা নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা থাকে।
পাশাপাশি মনের শান্তি বজায় থাকে। ধ্যানের মাধ্যমে মানুষ মনের দিক থেকে একাগ্র হতে পারে । পাশাপাশি নিজের কিছু ক্রিয়েটিভিটি করার ক্ষমতাও বাড়ে। নিজের শরীর সুস্থ রাখার জন্য কিছুক্ষেত্রে ধ্যান করার দরকার পড়ে। আর এই ধ্যান নিয়ে বাবা রামদেবের অনেক মতামত এখনকার দিনে অনেকেই মেনে চলেন। পাশাপাশি দেশের অনেক মানুষ বা বাইরে থেকেও অনেক মানুষ এখন এই নিয়ে সচেতন ।তাই তারা নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হয়ে ধ্যান করার জন্য মেডিটেশন সেন্টার এ গিয়ে থাকেন।
২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তিন দফায় তিনটে সেশন রাখা হবে। ২ থেকে ৪ এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি তেও রাকা হবে এই সেশন যেখানে ১.২ লক্ষ্য মানুষ অংশ নিতে চলেছেন। সেখানে উপস্থিত তাকতে চলেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামানাথ কোবিন্দ এবং থাকবেন আন্না হাজারে। এই হিসেবে এটা ভারতের একটা অন্যতম বড় মেডিটেশন সেন্টার হতে চলেছে সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।