গতবছর থেকে এই বছরের চলতি মাসের তিনমাস পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে আম জনতাকে । কারন পেয়াজের মুল্য কেজি প্রতি ১৫০ ছাড়িয়ে গেছিলো । এরপর দকানে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদাও কমতে শুরু করে। মধ্যবিত্তদের মধ্যে অনেকে পেঁয়াজের পরিবর্তে মুলো খেতে শুরু করে। এমনকি রাস্তার খাবারের দোকান রেস্তোরা সর্বত্র পেঁয়াজের ব্যবহার কমতে শুরু করে। চোখে জল আনা পেঁয়াজের ঝাঁঝ আর তার স্বাদ ভুলতে বসে ভারতবাসি ।
পেঁয়াজ কেনার মতন সাধ্য ছিলোনা অনেকেরই তাই অপেক্ষায় ছিল অনেকেই। আর এরই মধ্যে পেঁয়াজের উপকারিতা আর গুনাগুণ জানা সত্ত্বেও মানুষ নিরুপায় হয়ে পেঁয়াজ খাওয়া ভুলতে বসে। কিন্তু এসব কিছুর পরেও পেঁয়াজের দাম কমেনি। কিন্তু এদিন উত্তরপ্রদেশের গোরাখপুরে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় কার্যত খুশীর পরিবেশ দেখা দেয় । এইখানে পেয়াজের মুল্য কম হয়ে দাঁড়ায় ।
বিগত ১৫ দিন ধরেই পেঁয়াজের দাম এখানে কমত্বে শুরু করে একটু ভেতরের দিকে পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা প্রতি কেজি এবং শহরের দিকে ৬০ থেকে ৭০ টাকা প্রতি কেজি হয়ে দাড়ায় । তাতে বেশ হাসি ফুটেছে শহরের মানুষদের মনে। পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় বেশ খুশির মহল পেঁয়াজের বিক্রেতাদের মধ্যে।
কারন আগের তুলনায় পেয়াজের বিক্রিও বেরে গেছে। মানুষেরও পেঁয়াজ কেনার আগ্রহ বেড়েছে সভ মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন সামাল দেওয়ার মতন। আর পেঁয়াজের বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় আগের মতন পেঁয়াজ প্রিয় মানুষদের রসনা তৃপ্তির রান্নাগুলো খাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। তাই গরাখপুরের পর আবার কোন রাজ্যে পেঁয়াজের দাম কম্ বে, সেই নিয়ে বেশ আগ্রহে আছে অন্য রাজ্যবাসিরা। কারন দীর্ঘদিন ধরে মন মতো পেঁয়াজের কোন পদ খেতে না পারায় অনেকেই আক্ষেপের দিন গুনছে । সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ঠিক থাকলে পেঁয়াজের দাম কমবে আর ভারতবাসির মুখে আবার শীঘ্রই হাসি ফোটাবে ।