দেশে ঐক্য এবং একতা ফেরাতে প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্যের প্রত্যেক মসজিদে তোলা হল জাতীয় পতাকা। এইদিন রাজ্যের প্রত্যেক মসজিদে তোলা হয় পতাকা এবং পাঠ করা হয় সংবিধানের প্রস্তাবনা। বিগত কয়েক মাস ধরে দেশের মানুশষের অস্তিত্ব নিয়ে চলছে মরন বাচন লড়াই।
এনআরসি ,সিএএ ,সিএবি এবং এনপিআর নিয়ে গোটা দেশ এখন উত্তাল। দেশের আমজনতা ভাবছেন এই নিয়ম হলে কি তাদের দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে হবে নাকি এদেশেই তাদের খারাপ দিন দেখার অপেক্ষা করতে হবে। এন আর সি নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশে মিছিল প্রতিবাদ ভাংচুর সব কিছুই হয়ে গেছে। তাই নিয়ে দেশের বিরোধী নেতারা, দেশের বুদ্ধিজীবিরা নানা কথা বলেছেন। তাদের মতে এন আর সি কিছুতেই করতে দেওয়া হবে না।
দেশের সব মানুসষর অধিকার আছে স্বাধীন ভাবে বেচে থাকার। তাই এখন সবার উচিত এক হয়ে থাকা। দিল্লির শাহিনবাগ, কলকাতার পার্ক সার্কাস, লখনউয়ের ঘণ্টাঘরের বিক্ষোভে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। আর এর মধ্যে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে আমরা কখনো দেখেছি কবিতা, আবার কখনো দেখেছিব গান । বারংবার বদলেছে প্রতিবাদের রুপ। কিন্তু প্রতিবাদ বদলায় নি। সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতায় নেমেছে কেরল সরকারও। এমাসেই সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয়েছে কেরল বিধানসভায়। পরে সেই রাস্তায় হেঁটেছে পঞ্জাব, রাজস্থান। বিধানসভায় প্রস্তাব পাঠের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেছে কেরল সরকার।
তাই এসব কথা মাথায় রেখেই প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন মসজিদে তোলা হয় পতাকা। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড এইদিন পতাকা উত্তলন করার আদেশ দেন। নির্দেশ ছিল প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সকাল সাড়ে আটটায় রাজ্যের প্রতিটি মসজিদে উত্তোলন করতে হবে জাতীয় পতাকা। পাশাপাশি পাঠ করতে হবে সংবিধানের প্রস্তাবনা। আর সেই মত্ন প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সকালে মসজিদে পতাকা তোলার পাশাপাশি সংবিধানও পাঠ করা হয়।