বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুক্রবার রাত 11:40 মিনিটে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় উন্নাওয়ের গণধর্ষণের নির্যাতিতা তরুণীর। তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে শনিবার উন্নাওয়ের ওই গ্রামে বিক্ষোভের মুখে পড়েন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীরা। এলাকার মানুষের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ওই তরুণীর মৃত্যুর পর শনিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে দুই মন্ত্রী কমল রানি বরুন এবং প্রসাদ মৌর্য উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের গ্রামে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চান আর তখনই পাড়া প্রতিবেশীর রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁদের।
গ্রামে মন্ত্রীরা প্রবেশ করা মাত্রই গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার, উন্নাও গণধর্ষণ মামলা নিয়ে আদালতে যাওয়ার সময় পথে নিগৃহীতাকে আটকে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় পাঁচ দুষ্কৃতী। এ ঘটনা স্থলেই তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয়। তাঁর শরীরের নব্বই শতাংশ অংশ পুড়ে যায় কিন্তু বাঁচার আর্তি নিয়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে ছুটে গিয়ে সাহায্য পায় ওই তরুণী।
এর পরে বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাতেই দিল্লির সফদরজং উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়। আর শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মৃত্যু প্রসঙ্গে বলতে গিয়েইপূর্ব উত্তর ভারতের কংগ্রেস সভাপতি প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা জানান এ রাজ্যে এখনও অপরাধীদের মধ্যে কোনও ভয় নেই।
পাশাপাশি তিনি উত্তর প্রদেশে নারীদের কোনও নিরাপত্তা নেই বলেও মন্তব্য করেন। এমনকি বিজেপি বিধায়কদের দ্বারা নির্যাতিতার এই ঘটনা ঘটলেও তাঁকে কেন উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।