সারা দেশ এখন প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে আর ঠিক সেই মুহুরতে আর একবার খবরের শিরোনামে এল আরও এক বিশ্ব বিদ্যালয়ের নাম। ফের একবার হোস্টেলে হামলা এবিভিপির বিরুদ্ধে। জেএনউের পর বিশ্বভারতীর হোস্টেলে এই বর্বর হামলা প্রমাণ করে দিল এত মিছিল এত প্রতিবাদ সব বিফলে গেলো । কারন গত ৫ই জানুয়ারি জেএনউের হোস্টেলে প্রবেশ করে এবিভিপির কয়েক জন সদস্যরা।
মুখ বাধা থাকার কারণে তাদের পরিচয় জানতে বেগ পেতে হয় পুলিশদের।কিন্তু অবশেষে সেই ভিডিও হাতে আসার পর পুলিশ ওই মহিলাকে শনাক্ত করেন। এমন কি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাকে লিখিত নোটিস পাথানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যাভবন সিনিয়র বয়েজ হোস্টেলে ঢুকে দুজন ছাত্রের উপরে চড়াও হয় বহিরাগতরা।
তারপর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিশ্বভারতীর পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতাল সূত্র অনুযায়ী ছাত্ররা সেখানে ভর্তি হয়েছে। সুত্রের খবর থেকে জানা গেছে, আহত ছাত্ররা বাম ছাত্র দলের সমর্থক।সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পরা ভিডিওতে কয়েকজনকে দেখা গিয়েছে।জেএনউের ঘটনায় গোটা দেশের ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারন মানুশ এবং সেলিব্রিতিরা প্রতিবাদে সোচ্চার হন। তারা মিটিং মিছিল করেন।
কিন্তু এই নিয়ে প্রশাসন তেমন ভাবে নড়েচড়ে না বসায় বেশ ক্ষিপ্ত হন ছাত্রমহল। এই ঘটনার পরে অভিযোগের আঙুল উঠছে এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের সদস্য অচিন্ত বাগদী এবং সাবির আলির দিকে। পুরো ঘটনাটি ইতিমধ্যে বোলপুর থানাতে জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন সরগরম। কারণ শিক্ষার আধারে লুকিয়ে থাকা এরকম নংরা রাজ নিতি কেউ মেনে নিতে পারছেন না। আর এভাবে বারং বার সাধারন মানুষ আর ছাত্র নিগ্রহের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তাই এই নিয়ে এখন তদন্ত চলবে। আর খুব শিঘ্রই যে এর বিচার হবে তার আশা করা হচ্ছে।