হিন্দু শাস্ত্রে বিয়েতে মেহেন্দি করার রীতি আছে কিনা তো জানা নেই। কিন্তু এখন বিয়ের আগে প্রত্যেক বিয়ের কোনেই হাতে এবং পায়ে মেহেন্দি করে থাকেন। বিয়ের মরশুমে প্রত্যেকেই মেহেন্দি করেন। আবার অনুষ্ঠান করে অনেকেই সঙ্গীত করে থাকেন. সেখানে কনের সাথে বিয়েতে আসা সব মহিলারা মেহেন্দি করে থাকেন। বিবাহ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে মেহেন্দির ব্যবহার অতন্ত্য গুরুত্তপূর্ণ।
মেহেন্দি রীতিটিও এই বিবাহ অনুষ্ঠানের অন্তর্গত। তবে শুধু হিন্দু সমাজেই নয় মুসলিমরা তাদের যেকোনো শুভ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে মেহেন্দি পরে থাকেন। শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধিই নয় মেহেন্দির আরো কিছু গুন্ আছে যে কারণে প্রাচীন কাল থেকেই বিবাহ অনুষ্ঠানে মেহেন্দির ভূমিকা অত্যন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ।মেহেন্দির উৎপত্তি স্থল আসলে ইজিপ্ট। সেখান থেকেই এই গাছটি আমাদের দেশে আসে।হাতে এবংপায়ের পাতায় লাগানো মেহেন্দি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং অকারণ মানসিক চাপ,অবসাদ বা উদ্বিগ্নতার হাত থেকে মুক্তি দেয়।মেহেন্দি অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবেও কাজ করে.
তাই বিয়ের আগে বড় ও বধূর হাতে এই প্রলেপ লাগানো হয় যাতে কোনো রকম ছোয়াচে রোগ যেমন জ্বর, সর্দি ,কাশি এইসমস্ত অযাচিত রোগের আক্রমণ থেকে নব বধূ ও বরকে দূরে রাখা যায়।বিবাহের বিভিন্ন রীতি নীতি পালন করার সময় যদি কোনো ছোট দুর্ঘটনা যেমন কেটে যাওয়া ছড়ে যাওয়া ইত্যাদির হয়েই থাকে। মেহেন্দির প্রলেপ এই সমস্থ কাটাছেঁড়াকে তাড়াতড়ি সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আবার এরকম বলাও হয়ে থাকে মেহেন্দিতে মেশানো লেবু তেল এসব মিশিয়ে তাকে কনের হাতে লাগানো হয় শুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে। শরীরে এবং মনে সতেজতা আনে এই মেহেন্দি।কথায় বলে মেহেন্দির রং কনের হাতে যত গাঢ় হয় তাদের দাম্পত্য জীবন ততটাই সুখের হয়। তাই সব মিলিয়ে এইসব কারনেই মেহেন্দি পরা খুবই শুভ।