বাংলাহান্ট ডেস্ক : ১৫ বছর বয়স হলেই যে কোনও মুসলিম মেয়ে (Islam Girl) তাঁর পছন্দের সঙ্গীকে বিয়ে করতে পারে। বা বিয়ের চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারে। এমনই রায় দিল ঝাড়খণ্ড আদালত (Jharkhand High Court)। সম্প্রতি ১৫ বছরের এক মুসলিম কিশোরীকে বিয়ে করে বছর চব্বিশের মহম্মদ সোনু। এরপরই ওই কিশোরীর পরিবার সোনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এই মামলার পর্যবেক্ষণেই ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতি এমন রায় দিলেন।
সূত্রে খবর, বিহারের নওয়াদা এলাকার বাসিন্দা ২৪ বছরের সোনু মহম্মদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ঝাড়খণ্ডের জামসেদপুরের জুগসলাই এলাকার ১৫ বছরের এক মুসলিম কিশোরীর। তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করে নেয়। কিশোরীর পরিবারের তরফ থেকে দায়েট করা হয় মামলা। অভিযোগে বলা হয় সোনু ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করছে। সোনুও এর বিরুদ্ধে মামলা করে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে।
এরপরই ঘুরে যায় মামলার গতিপ্রকৃতি। শুনানিতে ওই কিশোরীর বাবা জানান, তিনি এই বিয়ের বিরুদ্ধে নন। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্রের খোঁজ চলছিল। আল্লাহকে ধন্যবাদ যে তিনি তা খুঁজে দিয়েছেন। কিছু ভুল বুঝে আমি এই মামলা দায়ের করেছি। কিশোরীর পরিবার পক্ষের উকিলও বলেন, দুই পরিবার থেকেই এই বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
দুই পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারপতি এসকে দ্বিবেদীর এজলাসে শুরু হয় বিচার। জানা যাচ্ছে, কিশোরীর বাবা মহম্মদ সোনুর বিরুদ্ধে আইপিসি ৩৬৬ (এ) এবং ১২০ (বি) অনুসারে অভিযোগ দায়ের করেন। রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি বলেন, ‘মুসলিম মেয়েদের বিবাহ সংক্রান্ত সমস্যা মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড দেখে। সেই ল বোর্ডেই বলা হয়েছে মুসলিম মেয়েরা ১৫ বছর বয়সের পর নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করতে পারবে। আদালতও এই বিষয়ে স্বীকৃতি দিল।’