বাংলাহান্ট ডেস্ক : সল্টলেকের ডিডি-১৮ ঠিকানার দুধসাদা প্রাসাদোপম বাড়িটি একটা সময় সিপিআইএমের শিক্ষক সংগঠনের অফিস ছিল। তবে সেই বাড়ির বাইরে এখন ব্যানারে লেখা, ‘এবিপিটিএ ভবন স্বল্পমূল্যে ভাড়া দেওয়া হয়’। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এই ভবনটির উদ্বোধন করেন ১৯৯৪ সালের মে মাসে।
উদ্বোধনের পর কেটে গেছে তিন দশক। পরিবর্তন হয়েছে রাজ্যের ক্ষমতা। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। একটা সময় যে বাড়িটি কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে গমগম করত, সেই বাড়িটি এখন পরিণত হয়েছে অনুষ্ঠান বাড়িতে।
আরোও পড়ুন : ১৯ কোটি টাকা বকেয়া সরকারের কাছে! রাজ্যের ৮ জেলায় ২৪ ঘন্টা পেট্রোল পাম্প ধর্মঘটের ডাক
বিয়ে থেকে অন্নপ্রাশন, জন্মদিন থেকে শ্রাদ্ধ, সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয় এই বাড়িটি। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল সিপিআইএমের এই শিক্ষক সংগঠনকে? এর পিছনে কি রয়েছে তাহলে অর্থ সংকট? প্রশ্ন তুলতেই এবিপিটিএ সভাপতি মোহনদাস পণ্ডিত বললেন, ‘‘না না, অর্থসঙ্কট আমাদের নেই। বাড়িটি সব সময় ব্যবহার হয় না। তাই স্বল্পমূল্যে ভাড়া দেওয়া হয়।’’
আরোও পড়ুন : অনুপ্রেরণা ঠাকুরদা! সবংয়ের ‘দানশীল’ মলয়ের কোটি টাকার জমিতে এবার গড়ে উঠল দমকল কেন্দ্র
তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘সল্টলেকের অফিস পাড়ায় একটাও ভাল ‘হল’ নেই ছোটখাটো অনুষ্ঠানের জন্য। আমরা হল ভাড়া দিই। এতে আপত্তির কী আছে? সবাই কি অর্থসঙ্কট হলেই ভাড়া দেয়? আপনার যদি শান্তিনিকেতনে বাড়ি থাকে, আপনি যদি কোনও অনুষ্ঠানে ভাড়া দেন, অসুবিধা কী? আমরাও যদি ভাড়া দিই, যদি কিছু অর্থ আসে, ক্ষতি কী?’’
তবে বাড়িটি যে এখন আমজনতার কাজে আসছে তা বলাই বাহুল্য। এরপর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি ‘শূন্যতা’ ঢাকতে এই ব্যবস্থা? প্রশ্নের ইঙ্গিত বুঝতে পেরে এই সিপিআইএম নেতার দাবি, ‘‘এখনও শিক্ষিত অংশে আমাদেরই নিয়ন্ত্রণ আছে। বর্তমান শাসকদলের সংগঠন কেবল চোখ রাঙিয়ে টিকে রয়েছে।’