মোঘল সাম্রাজ্যের পর এবার পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ গেলেন কালাম! মোছা হল ৩৭০ ধারা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের নাম এবার মোছা হলো পাঠ্যপুস্তক থেকে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পুস্তক থেকে ভারতের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রীর নাম মোছা হয়েছে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT)-এর নির্দেশে। এর আগে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় গান্ধীর অবদান ও তার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি মোছা হয় পাঠ্যপুস্তক থেকে। সে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক।

এবার পাঠ্যপুস্তক থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কালামকেও। স্বাধীনতার পরে কাশ্মীরে শর্তাধীন অন্তর্ভুক্তির প্রসঙ্গও এরই সাথে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বইটির প্রথম অধ্যায়ে ‘সংবিধান- কী ও কেন’-এ সংসদীয় কমিটির মৌলানা আজাদের নাম ছিল। বাদ দেওয়া হয়েছে সেই অংশটি। জওহরলাল নেহরু, রাজেন্দ্র প্রসাদ, সর্দার প্যাটেল, বিআর আম্বেদকরের নাম বইতে উল্লেখ থাকলে সেখানে উল্লেখ নেই মৌলানা আজাদের নাম।

   

প্রসঙ্গত, আজাদ সংবিধান তৈরীর প্রাক্কালে ১৯৪৬ সালে নতুন গণ পরিষদের নির্বাচনে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কালামের সাথেই বই থেকে বাদ পড়েছে কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও। এই সংক্রান্ত একটি বাক্য বাদ দেওয়া হয়েছে বইয়ের দশম অধ্যায় ‘সংবিধানের দর্শন’ থেকে। বাদ দেওয়া অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, ‘উদাহরণস্বরূপ ভারতীয় ইউনিয়নে জম্মু ও কাশ্মীরের যোগদান সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে এর স্বায়ত্তশাসন রক্ষা করার প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে ছিল।’

abdul

বই থেকে এর ফলে সম্পূর্ণভাবে মুছে গেছে সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা। গান্ধী ছাড়াও এর আগে মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসের বিলুপ্তিকরণকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল গেরুয়াকরনের। এবার মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নাম বিলুপ্তকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর