বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ফের সমাচলচনার শিকার হল চীন (China) সরকার। করোনা ভাইরাসের (COVID-19) দোষারোপে পর আফ্রিকান নাগরিকদের হোটেল থেকে বের করে দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ল চীন। বর্তমানে আফ্রিকায় চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর গর্জে উঠেছে।
চীন থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে আফ্রিকান নাগরিকদের
মারণ ব্যাধি করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে চীনকে বহুবার দোষারোপ করা হয়েছে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই এখন চীনের বিপরীতে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য চীন সরকার জিংপিংকে দায়ী করেছেন। কিন্তু এরই মধ্যে এবার চীন সরকারের বিরোধীতা করতে শুরু করল আফ্রিকাবাসী। তাঁদের দাবী চীন থেকে আফ্রিকান নাগরিকদের এই সংকটের সময়ে হোটেল, রেস্তোরা থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।
আফ্রিকাকে ভারতের সাহায্য
বর্তমানে চীন ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। একদিকে যেমন চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে আফ্রিকা, তেমন অন্যদিকে ভারত সরকার এই সংকটের সময়ে আফ্রিকাকে সাহায্য় করছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য ভারত থেকে আফ্রিকার প্রায় ১৩ টি দেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ওষুধ পথ্য পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত সরকার। যার মধ্যে থাকছে প্রয়োজনীয় ওষুধ, ইঞ্জেকশন, জরুরী জিনিসপত্র। এই করোনার সংকটে দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও বন্ধুর হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ভারত আফ্রিকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক
ভারত থেকে আফ্রিকাতে বেশিরভাগ ওষুধ এবং পেট্রোলিয়াম দ্রব্য রপ্তানি করত। ২০০১ সালে ভারতের সঙ্গে আফ্রিকার ৫.৩ আরব ডলারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। এই পরিমাণ ২০১৮ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ আরব ডলার। বর্তমান সময়ে ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কের নির্ণয়ে আফ্রিকা চতুর্থ স্থানে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতিতে চীনের দুর্ব্যবহারের ফলে, ভারত আফ্রিকার আরও কাছাকাছি চলে আসতে পারে।
কোণঠাসা হচ্ছে চীন
চীনে যেসকল কোম্পানি বর্তমানে রয়েছে, তারাও এখন চীন ছাড়তে চাইছে। যার ফলে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে চীন। এই সঠিক সময়ে ভারত যদি একবার আফ্রিকার চিকিৎসা বাজারে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে পারে, তাহলে চীনের ব্যবসায় তালা লেগে যাবে। নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, মোজাম্বিকেও এই ঘটনা ঘটতে পারে।