বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই রাজস্থানের সিংহম বলে পরিচিত আইপিএস পুলিশ অফিসার দীনেশ এমএন জানিয়েছিলেন, রাজস্থানে এসিবি বা অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো (ACB) এই মুহূর্তে দুর্দান্তভাবে কাজ করে চলেছে। যার জেরে আইনের জালে বন্দি হচ্ছেন একের পর এক দুর্নীতি পরায়ন আধিকারিক। তার এই বয়ানের মান্যতা রেখেই ফের বড় সাফল্য পেল রাজস্থানের দুর্নীতি দমন শাখা। চিতোরগড়, যোধপুর এবং জয়পুরে প্রায় ১৪ জন সরকারি অফিসারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একের পর এক দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করল এসিবি। দুর্নীতি দমন শাখার এই তৎপরতার ফলে যেসব আধিকারিক গ্রেপ্তার হয়েছেন তাতে রীতিমতো চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে সকলের।
জয়পুরে অভিযান চালানোর সময় জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির আধিকারিক নির্মল গোয়েলের বাড়িতেও অভিযান চালায় এসিবি। জানা গিয়েছে এই আধিকারিকের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে ৩০ কেজি সোনা, পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি, ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার নগদ টাকা এবং প্রায় ২৪৫ ইউরো। শুধু তাই নয় এসিবি জানতে পেরেছে নির্মল গোয়েলের নামে জয়পুর পশ কলোনিতে চারটি বাড়ি এবং ফার্ম হাউসও রয়েছে। দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনো ব্যাঙ্কের তিনটি লকার খোলা বাকি রয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনই যা সম্পত্তি উদ্ধার করেছে এসিবি তার পরিমাণ নির্মলের আয়ের তুলনায় ১৪৫০% বেশি।
এরপর দুর্নীতি দমন শাখা অভিযান চালায় যোধপুরে। যোধপুরের পুলিশ ইন্সপেক্টর প্রদীপ শর্মার বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়েও বিপুল অনৈতিক সম্পত্তির হদিস পান তারা। জানা গিয়েছে যে পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে তা ঐ অফিসারের মোট আয়ের তুলনায় প্রায় ৩৩৩% বেশি। সুরসাগর থানার ইন্সপেক্টর প্রদীপ শর্মার নামে রয়েছে ভোপালে ১০ বিঘা জমি, স্কুল ছাড়াও তিনটি বাস। এছাড়া যোধপুর, ভোপাল এবং বিকানরের বেশ কিছু এলাকায় তিনি মোট চার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
চিতোরগড়ে অভিযান চালাতে গিয়েও এসিবির হাতে ধরা পড়ে এক দুর্নীতি পরায়ন সরকারি আধিকারিক। মনীষ শর্মা নামের ওই ব্যক্তি ছিল চিতোরগড় জেলা পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা। সূত্রের খবর, তার কাছে উদ্ধার হয়েছে নগদ এক লাখ টাকা, দু কোটি টাকার বিনিয়োগের কাগজপত্র, বিদেশি ভ্রমণের নথি, দামি বাইক ও অন্যান্য যানবাহন।