বাংলা হান্ট ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) জুড়ে যেন দুর্ঘটনার মরসুম। গতকাল সকালে বেহালা। আর আজ খড়গপুর (Kharagpur)। একের পর এক দুর্ঘটনা। একের পর এক মৃত্যু। স্বজনহারার কান্না। শুক্রবার থেকেই মৃত্যুর খবর শুনছে বাংলা। গতকাল বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় পুলিস আধিকারিক-সহ ২ জনের। ঘটনায় দুই পুলিস কর্মী-সহ ৬ জন আহত হয়েছেন।
কী হয়েছিল ঘটনা? রাত ১টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরে খড়গপুর-মকরমপুর রাজ্য সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পেট্রোলিং ডিউটিতে ছিলেন খড়গপুর লোকাল থানার এএসআঃ রামানন্দ দে-সহ কয়েকজন পুলিস কর্মী। বেনাপুরে রেলগেট আটকানো থাকায় তাঁরা গাড়ি থেকে নামেন। সেইসময় বেপরোয়া অডি দ্রুতগতিতে এসে এএসআই-সহ পুলিস কর্মীদের ধাক্কা মারে।
এরপর সিগন্যাল পোস্টে ধাক্কা মেরে একটি দোকানে ঢুকে পড়ে গাড়িটি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালক-সহ ৫ যাত্রী গুরুতর জখম হন। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় শেখ জাহাঙ্গির নামে এক যাত্রীর। মৃত্যু হয় খড়্গপুর লোকাল থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর রামানন্দ দেরও। আহত ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
গাড়ির চালক মত্ত অবস্থায় থাকায় দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিসের। সূত্রের খবর, গাড়ির গতি এত বেশি ছিল যে, রেলগেটের পাশে সিগন্যাল পোস্টে পাশে চায়ের দোকানের ঝুপড়ি ভেঙে ঢুকে যায় গাড়িটি। শুক্রবার সকালে বেহালার দুর্ঘটনা দিয়ে দিনের শুরু । এরপর ওইদিন রাতেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার মুখে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় যুবতীর প্রাণ। রাত তখন ১১ টা। আর তার কিছু পরেই রাত ১ টা নাগাদ খড়গপুরের এই দুর্ঘটনা।
শুক্রবার রাত ১১ টায় এবার বেপরোয়া ট্রেলারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক যুবতীর। মৃত সুনন্দা দাস হাওড়ার নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ খিদিরপুরের দিক থেকে স্কুটারে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে যাচ্ছিলেন
২৬-এর হোটেল কর্মী। সেইসময় বেপরোয়া ট্রেলার পিছন থেকে তাঁর স্কুটারে ধাক্কা মারে। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই হোটেল কর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।