বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যত দিন এগোচ্ছে ততই রাস্তায় বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। আর তার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনাও (Accident)। এমনকি, অনেক সময়ে পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেও কেউ কেউ অসাবধানতাবশত গাড়িতে ধাক্কা লাগিয়ে দেন। এমন পরিস্থিতিতে, গাড়ির ইন্স্যুরেন্স (Car Insurance) থাকার পরেও, গাড়ি মেরামত করা একটি কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন পরিস্থিতিতে কি করা উচিত সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করব। পাশাপাশি, কিভাবে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে সেই বিষয়ের উপরেও আলোকপাত করা হবে।
প্রথমে এটি মনে রাখুন: মূলত, গাড়িতে ধাক্কা লাগার পর স্বাভাবিকভাবেই সবাই রেগে যান। কারণ, নিজের গাড়ির ক্ষতি হঠাৎ করে কারোর পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব হয় না। তবুও, গাড়ির যতই ক্ষতি হোক না কেন, রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং তর্ক থেকে বিরত থাকতে হবে।
পরীক্ষা করুন এই নথিগুলি: প্রথমত, আপনাকে দেখতে হবে, যে ব্যক্তির গাড়ি আপনার গাড়িতে ধাক্কা মেরেছে তাঁর কাছে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ির সাথে সম্পর্কিত সঠিক নথি রয়েছে কিনা। কারণ, এমনও হতে পারে যে, গাড়ি দুর্ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিটি নাবালক। এমনটা হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে হবে।
তবে, তিনি যদি আপনাকে সঠিক ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেখাতে সক্ষম হন, সেক্ষেত্রে আপনি তাঁর গাড়ির ইন্স্যুরেন্সের বিশদ বিবরণ জানতে পারেন। গাড়ির প্রতিটি ইন্স্যুরেন্সের পলিসিতে থার্ড পার্টি ইন্স্যুরেন্স আগে থেকেই যুক্ত থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, যে ব্যক্তি ধাক্কা মেরেছেন তিনি চাইলেই তাঁর ইন্স্যুরেন্স পলিসির মাধ্যমে আপনার গাড়িটি মেরামত করতে পারেন।
চুক্তি হতে পারে টাকায়: যদিও, তিনি যদি তাঁর গাড়ির ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে আপনার গাড়ি মেরামত করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে আপনি ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকার দাবি করতে পারেন। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে আপনি কিভাবে ক্ষতির পরিমান বুঝবেন? এর জন্য, আপনি একজন গাড়ির মেকানিক বা আপনার গাড়ির অনুমোদিত ওয়ার্কশপের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশের মূল্য সম্পর্কে জানতে পারেন।
কত টাকা নিতে হবে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, যদি আপনি আপনার নিজের গাড়ির ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে আপনার গাড়িটি মেরামত করেন, সেক্ষেত্রেও আপনাকে কিছু খরচ বহন করতে হবে। প্রথমত, যদি আপনার ইন্স্যুরেন্স জিরো ডেপ (Zero Dep) না হয়, তাহলে আপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের কিছু শতাংশ খরচ দিতে হবে।
দ্বিতীয় অসুবিধাটি ফাইল চার্জের আকারে হবে। যা সাধারণত ১,০০০ টাকা হয়। তৃতীয় অসুবিধা হবে নো ক্লেম বোনাস। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ইন্স্যুরেন্স পলিসি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন কত শতাংশ নো ক্লেম বোনাস (NCB) এর ফলে নষ্ট হতে চলেছে। মূলত, আপনি যদি কোনো ক্লেম না করেই ইন্স্যুরেন্স রিনিউ করেন সেক্ষত্রে এই বোনাস পাওয়া যায়। এই শর্তগুলি দেখার পরে, আপনি অনুমান করতে পারবেন যে, কত টাকা ব্যয় হতে চলেছে। আর সেই হিসেবের ভিত্তিতেই আপনি ওই ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ নিতে পারেন। তবে, পুরো বিষয়টি মাথা ঠান্ডা রেখে করতে হবে।