বাংলাহান্ট ডেস্ক : দলবদলের পর কেটেছে মাস সাতেক। তবুও যেন কাটছে না ওপারের মায়া। তৃণমূলে ফেরার পরও এখনও বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির তালিকায় সদস্য হিসেবে উজ্জ্বল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। আর এই নামকে ঘিরেই বিস্তর বিতর্কের সূত্রপাত রাজ্য রাজনীতিতে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপর ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি অমিত শাহের পাঠানো চাটার্ড বিমানে করেই দিল্লিতে রীতিমতো অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক। যদিও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেই বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন তিনি। সেদিন বিধানসভা থেকে তাঁকে বেরোতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বাঁধানো ছবি বুকে নিয়ে।
দলত্যাগের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন বিজেপির টিকিটেই জিতে ফিরবেন ডোমজুড়ে। কিন্তু হল তার উলটো। বিধানসভা নির্বাচনে কার্যতই গোহারা হারলেন তিনি। এরপর থেকেই যেন বিজেপির সঙ্গে বাড়তে লাগল তাঁর দূরত্ব। অবশেষে ৩১ অক্টোবর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই ঘাসফুল শিবিরে পুনরাগমন হয় তাঁর।
তৃণমূলে ফেরার মাস সাতেক কাটলেও এখনও বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হিসেবে রয়ে গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম এবং ফোন নম্বর। বিজেপির দলীয় সংবিধান অনুযায়ী, এই কমিটির উপরে রয়েছে কেবলই সংসদীয় বোর্ড। ফলে বলাই বাহুল্য, বিজেপির কাছে অতিমাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মসমিতি। এই একই সমিতির সদস্য হিসেবে রয়েছেন অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীর মতন নেতারাও। খোদ বিজেপির ওয়েবসাইটে এহেন তথ্যকে ঘিরে কার্যতই জল্পনার মেঘ তৈরি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে সূত্রের দাবি, রাজীবকে দলে নেওয়ার ‘ভুল’ এর মতই ওই ভুলটিও ‘সংশোধন’ করা আর হয়ে ওঠেনি বিজেপির।