বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ধর্ষণ মামলায় (Rape Case) কেঁপে উঠেছে দেশ। বাংলার আরজি কর ধর্ষণ খুনের রেশ যেমন রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে সমগ্র ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে জামিন দিল হাইকোর্ট (High Court)। নাবালিকার যে বয়ান সামনে এসেছে, তার ওপর ভিত্তি করেই এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জামিন দেওয়ার সময় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট এবং আরও কয়েকটি আদালতের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
ধর্ষণ-মামলায় বড় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের (High Court)!
১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে পকসো মামলা (POCSO Case) হয়েছিল। ২০১৯ সালে বান্দ্রা নিবাসী নাবালিকা দিদির বাড়ি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। দিন তিনেক পর এক প্রতিবেশী যুবকের বাড়ি থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। সে জানায়, ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক আছে। তবে তাঁর পরিবার সেই সম্পর্কের বিপক্ষে ছিল। এরপর নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার সেই মামলাতেই অভিযুক্ত যুবককে জামিন দিল বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)। বিচারপতি মিলিন্দ যাদবের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। নিজের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, ওই নাবালিকা যা করেছিলেন, সবটা জেনেবুঝে, সজ্ঞানেই করেছিলেন। এমনকি অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে সে নিজের ইচ্ছায় তিন রাত কাটিয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুনঃ অকাল বন্যায় জলের তলায় চাষের জমি! রাতারাতি বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের
জানা যাচ্ছে, পাঁচ বছর পর ওই অভিযুক্ত যুবকের জামিন মামলায় সাক্ষীদের বয়ান আদালতের সামনে আনা হয়েছে। সেখানে ওই নাবালিকা জানায়, সে স্বেচ্ছায় ওই যুবকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল। সেই সন্দেহ প্রকাশ করে, দুই পরিবারের মধ্যেকার অশান্তি এবং তার জেরে প্রতিহিংসার জন্য ওই যুবক গ্রেফতার কিনা!
এদিকে সাধারণত ১৮ বছর না হলে বিয়ে সম্বন্ধিত কোনও সম্পর্ককেই আদালত মান্যতা দেয় না। নাবালিকা নিজের ইচ্ছায় কাউকে পছন্দ করলেও তাঁর অপরিণত মনস্ক ভাবনার সেই অর্থে তেমন কোনও গুরুত্ব নেই আদালতের কাছে। আইনজীবীদের মত, এই মামলার ক্ষেত্রে সেই ধারণা অনেকটাই বদলে গিয়েছে (High Court)। এই বিষয়টিকে ব্যতিক্রম হিসেবে দেখছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সাবির আহমেদ। তাঁর কথায়, এটিকে নিয়ম বলা যায় না। এটিকে ব্যতিক্রম হিসেবেই দেখতে হবে। অভিযুক্ত যুবকের বয়স কম। ইতিমধ্যেই সে পাঁচ বছর সাজা খেটেছে। এখানে মেয়েটির ভালোবাসা গুরুত্ব পেয়েছে।