বাংলা হান্ট ডেস্ক : অবশেষে এল সুবিচার। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গোরক্ষনাথ মন্দির চত্বরে পুলিসকর্মীদের উপর হামলায় দোষী সাব্যস্ত আহমেদ মুর্তাজা আব্বাসিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালত। ঘটনাটি ঘটে গত বছর এপ্রিল মাসে। গোরক্ষপুরে (Gorakhpur) গোরক্ষনাথ মঠের বাইরে পুলিসকর্মীদের উপর হামলা চালায় মুর্তাজা। তার ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হন দুই পুলিসকর্মী। এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ বলে চিহ্নিত করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh Government)।
আইআইটির স্নাতক মুর্তাজা জানায়, মুসলমানদের উপরে চলতে থাকা ‘নির্যাতনে’র ঘটনা থেকে জন্ম নেওয়া ক্ষোভই তাকে এই হামলা করতে বাধ্য করে। এরই সঙ্গে, সে আরও জানায়, মোদি সরকারের সিএএ নিয়েও ক্ষুব্ধ ছিল সে। হামলার অনেক আগে থেকেই মনে মনে প্রস্তুতি নিয়েছিল সে। সেই ঘটনার তদন্তে নামে সন্ত্রাসদমন স্কোয়াড (ATS)। দিন দুয়েক আগেই অভিযুক্ত মুরতাজাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল এটিএস আদালত। আর আজ সোমবার মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হল তাকে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিসের অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল প্রশান্ত কুমার জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ ধারায় মুর্তাজাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তিনি আরও জানান, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে যোগ ছিল মুর্তাজার। জঙ্গি দলের সদস্যদের আর্থিক সাহায্যও করত সে। জেরায় এই তথ্য উঠে আসে বলে জানান এডিজি।
দীর্ঘদিন ধরে আইআইটির (IIT) প্রাক্তনী মুর্তাজা আব্বাসি এটিএসের ব়্যাডারে ছিল। এমনকী, ছদ্মবেশে তার বাড়িতে হানাও দিয়েছিল এটিএস কর্তারাও। কিন্তু সেই সময় মুরতাজা নেপালে গা ঢাকা দেয়। যদিও গোরক্ষপুরের মন্দিরে হামলায় তার গ্রেফতারের পর মুর্তাজা ও তার সঙ্গীদের লাগাতার জেরা করে পুলিস। ল্যাপটপ, মোবাইল থেকেও পাওয়া যায় চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। তার মোবাইল থেকে একাধিক জেহাদি ভিডিও-র হদিশ মিলেছে বলেও জানায় পুলিস।