বাংলা হান্ট ডেস্ক : শেষ হল টানা কয়েকদিনের লুকোচুরি। অবশেষে পুলিসের জালে ধরা পড়ল কেরলের কোঝিকোড়ে ট্রেনে আগুন মামলার অভিযুক্ত। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রত্নাগিরি (Ratnagiri) জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই সন্দেহভাজনকে। ধৃতকে বুধবারই কেরল (Kerala) পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই অভিযুক্তের নাম শাহরুখ সৈফি। মহারাষ্ট্র এটিএস (Maharashtra ATS) সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও মহারাষ্ট্র এটিএস-এর যৌথ দল রত্নাগিরি থেকে ওই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তকে কেরল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, যে ব্যক্তি জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে, তাকে মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুব দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার জন্য মহারাষ্ট্র সরকার, তাঁদের পুলিস, আরপিএফ ও এনআইএ-কে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আলাপ্পুজা-কান্নুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোঝিকোড় স্টেশন পেরনোর পর কোরাপুজা রেলওয়ে ব্রিজে পৌঁছেছিল। সে সময়ই অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি সহযাত্রীর গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ। চলন্ত ট্রেনের মধ্যে আগুন দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাকি যাত্রীদের মধ্যে। শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। এর জেরে আট জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ট্রেনের অন্য যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামান। ট্রেন কান্নুরে পৌঁছলে যাত্রীরা রেল কর্তৃপক্ষকে জানান। শিশু সহ এক মহিলার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তখন তাঁদের খোঁজ শুরু করে রেল পুলিস। দীর্ঘ তল্লাশির পর রেললাইন থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়। এক বছরের শিশু-সহ মহিলার দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি এক মধ্যবয়সি ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মনে করছে, ট্রেনে আগুন দেখে ভয়ে তিন জন ট্রেন থেকে নামার চেষ্টা করেন। তার জেরেই রেললাইনে পড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান।
সেই ঘটনার চার ঘণ্টা পর রেললাইন থেকে ওই তিন যাত্রীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মৃতদের মধ্যে এক শিশুও ছিল। সেই ঘটনার অভিযুক্তকে অবশেষে পাকড়াও করা হয়েছে।