বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাঙালি মানেই তেলে ঝোলে রসিয়ে কষিয়ে খাওয়া। কচি পাঁঠা থেকে শুরু করে ইলিশ, গলদা, পাতুরি কি না নেই। চব্য চোষ্য গিলে পুরো পেট ঠেসে ঠুসে তো ভরলেন, কিন্তু খেয়ে দিয়ে তারপরই তো নাজেহাল অবস্থা। গোগ্রাসে গিলে এরপর গ্যাস, বদহজম, অম্বলের (Acidity) সমস্যা প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি। কিন্তু এর পিছনে কি শুধুই তেলে ঝালে খাবারই আসল কারণ। আজ্ঞে না, আমাদের বিশেষ কিছু ভুল আজ আমাদের শরীরে বদহজম, অম্বলের (Acidity) অন্যতম কারণ।
শরীরে গ্যাস-অম্বলের (Acidity) হওয়ার কারণ কী?
এবিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশেষ কিছু যুক্তি দিয়েছেন। উল্টোপাল্টা খাবারের পাশাপাশি আমাদের জীবনে বিশেষ কিছু বদ অভ্যাসই আমাদের জীবনে গ্যাস, অম্বলের (Acidity) মত সমস্যায় ভোগাচ্ছে। এই বদ অভ্যাস বদলে ফেলতে পারলেই গ্যাস, বদহজম, পেটের গোলযোগের সমস্যা চুটকিতেই দূর হয়ে যাবে। ঠিক কি কি কারণে আমাদের গ্যাস, অম্বল (Acidity) বদ হজম হয়ে থাকে দেখে নিন।
১) বেশি রাতে তেলেভাজা খাবার:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো খাবার খাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সকালে ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে লাঞ্চ টিফিন টাইম সবারই টাইম বাধা ধরা। তবে বিশেষ করে ভাজা ভুজি নির্দিষ্ট সময় খেতে হয়। রাতের বেলা যদি লুচি পরোটা চপ এসব খান, তাহলেই আপনাদের গ্যাস, অম্বলের ( Acidity ) মতো সমস্যায় ভুগতে হয়। গবেষকদের মতে রাতের বেলা আমাদের পরিপ্রাক ক্রিয়ার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে তেল, মশলা জাতীয় খাবার হজম হয় না আর টক্সিন রূপে শরীরের থেকে যায়। এতে করে যেমন বদহজম হয় তেমনি শরীরে কোলেস্টেরল, চর্বি ইত্যাদি জমতে থাকে।
২) খাবারের ব্যবধান:
আমাদের অনেকের মধ্যেই ক্ষণে ক্ষণে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু এইভাবে খাওয়াকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মোটেও ভালো লক্ষণ বলে গণ্য করছেন না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোন খাবার হজম হতে মূলত তিন-চার ঘন্টা সময় নেয়। কিন্তু এই সময়ের ব্যবধানের মধ্যে যদি আপনারা আবারো খাবার খান তাহলে এই সমস্যা তো হবেই। এমন কি পেট ফাঁপার মতো সমস্যাও দেখা দেয়।
৩) প্রাতরাশ বাদ:
কর্মজীবনে হামেশাই অনেকের মধ্যেই সকালের খাবার না খাওয়ার রোগ রয়েছে। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, সকালের খাবার বাদ গেলে কিংবা সকালের খাবারে পুষ্টির অভাব থাকলে পেটের গোলযোগ দেখা দেয়। এছাড়াও সকালের খাবারে যদি অতিরিক্ত ভারী খাবার খাওয়া হয়, তাহলেও এমন সমস্যায় ভুগতে পারেন।
আরও পড়ুন : ১০০০ শূন্যপদ! কর্মী নিয়োগ হবে IDBI ব্যাঙ্কে, হাতে আর কটা দিন! কিভাবে আবেদন করবেন?
৪) খেয়ে উঠেই ঘুম:
আমাদের সকলের মধ্যে সবথেকে বড় একটি খারাপ গুণ হচ্ছে খেয়ে উঠেই আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। গবেষকরা বলছেন, খেয়ে উঠেই সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়তে নেই। খাবার পর অন্তত কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করা উচিত। অন্তত খাওয়ার ১-২ ঘণ্টা ব্যবধানেই ঘুমানো উচিত। নয়তো গ্যাস, বদ হজম, অম্বলের মত সমস্যায় ভুগতে হয়।
৫) চা খাওয়া:
অনেকের অভ্যাস আছে খাওয়ার পর চা খাওয়ার। লাঞ্চ, ডিনার, ব্রেকফাস্ট যাই করেন না কেন খাবারের পর চা খাওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত বাজে। এতে করে পরিপাক ক্রিয়া ধ্বংস হয়। তাই বদহজম, অম্বলের (Acidity) সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই বদভ্যাস বাদ দিন।