রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্ররা CAB বিল নিয়ে বিরোধিতা করতে নেমে ছিল। যার পর দিল্লী পুলিশ বেধড়ক লাঠি চার্জ করে ছাত্রদের তাড়া করে। জানিয়ে দি, দিল্লী পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন থাকে। যার ফলে দিল্লীতে অশান্তি দমন খুব সহজেই করা যায়।
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর অজুহাত দেখিয়ে দেশের বেশকিছু জায়গায় কট্টরপন্থীরা উপদ্রব চালিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ২ টি জায়গায় রেল স্টেশন ভাঙ্গচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। বেশকিছু জায়গায় ট্রেন আটকে তার উপর পাথর ছোড়া হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে এম্বুলেন্স ভাঙচুরও করা হয়েছে। এম্বুলেন্সে ভেঙে রোগীর পথ আটকে দেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
https://twitter.com/Khan_umair_/status/1205539499037450245?s=19
পশ্চিমবঙ্গে কট্টরপন্থীদের উপদ্রবের সামনে পুলিশ প্রশাসন একবারে পঙ্গু হয়ে গেছিল বলে দাবি উঠেছে। গ্রেফতার বা কট্টরপন্থীদের দমনের কোনো খবর সামনে আসেনি। অন্যদিকে দিল্লিতেও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্ররা CAB বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে ভাঙচুর করা ও আগুন লাগানোর কাজ করছিল। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী শত্রুবার জুম্মার নামাজের পর CAB বিল নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। এর জন্য আগে থেকেই দিল্লীর রাস্তায় বড়ো সংখ্যায় পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবাদ হটাৎ করেই হিংসার রূপ নেয়।
প্রথমদিকে পুলিশ হিংসা আটকানোর জন্য ভরপুর প্রয়াস করে। কিন্তু জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্ররা পুলিশের কথা না শুনে পাল্টা আক্রমন করে। পুলিশের উপর পাথর ছোড়া হয়। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। শান্তি বজায় রাখার জন্য পুলিশ উম্মাদী ছাত্রদের বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে পুলিশের বেশকিছু লাঠি ভেঙেও যায়।অবশ্য ছাত্ররা যেভাবে পাথর ছুঁড়ছিল তাতে পুলিশের কিছুজন আহত হন।
জানিয়ে দি, নাগরিকত্ব বিল লোকসভা ও রাজ্যসভায় দুই সদনেই পাস হয়ে গেছে। এই বিলের নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও।আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখরা সহজেই নাগরিকত্ব পাবে। তবে এই বিলে অবৈধ বাংলাদেশি মুসলিমরা কোনো নাগরিকত্ব পাবে না। যা নিয়েই প্রতিবাদ জানাতে নেমেছে কট্টরপন্থীরা। তদের দাবি এই বিলে যেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আগত মুসলিমদেরও নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান রাখা হয়।