বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনেক বছর পর বেশ কয়েকটি বাংলা ছবি একসাথে মুক্তি পেতে চলেছে পুজোয়। এগুলির মধ্যে দৌড়ে সবথেকে এগিয়ে আছে দেবের বাঘাযতীন। স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জীবনী নিয়ে তৈরি এই ছবি ইতিমধ্যেই সৃষ্টি করেছে উন্মাদনার। টনিক, প্রজাপতির মতো হিট ছবিগুলি দিয়ে করোনা পরবর্তী সময়ে বাঙালি দর্শককে ফের একবার হলমুখী করতে সক্ষম হয়েছিলেন অভিনেতা দেব।
এবার পুজোয় ফের একবার দেব হাজির নতুন অবতারে। বাঘাযতীন ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার দায়িত্বেও রয়েছেন দেব।ছবির প্রচারে গিয়ে দেব এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “৯২ টি চরিত্র রয়েছে এই ছবিতে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এদের প্রত্যেকের অবদান অনস্বীকার্য। ইতিহাসের পাতায় বাঘাযতীন এর নাম স্থান পেয়েছে। কিন্তু এদের বেশিরভাগের নাম বইয়ের পাতায় নেই। স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে আমরা মাত্র চার-পাঁচ জনকেই মনে রাখি।”
পাশাপাশি তার আরও বক্তব্য, “বাঘাযতীনের চরিত্রে আমি অভিনয় করছি বলে কাউকে ছোট করছি না। ব্রিটিশদের সবচেয়ে ডাকসাঁইটে অফিসার চার্লস টেগাট তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, বাঘাযতীন বেঁচে থাকলে গান্ধীজীর জন্ম হত না। জাহাজ যদি বুড়িবালামে পৌঁছে যেত, তাহলে এক-দু বছরের মধ্যে স্বাধীনতা পেত ভারত। ওই অস্ত্র জার্মানি থেকে দেশে এসে পৌঁছালে ১৯১৫-১৯১৭ এর মধ্যে ভারত স্বাধীন হত। শুধু বাঙালি কেন, এই ঘটনা সবার জানা উচিত।”
বাঘাযতীন প্রসঙ্গে দেব আরো জানান, “বাঘাযতীন আমাদের কাছে শুধু একটা সিনেমা নয়। একটা আবেগ। এই সিনেমাটার মধ্যে আমরা গত আড়াই বছর ধরে কাটিয়েছি। আমার গোটা টিম লড়াই করেছে। আমি চাই প্রত্যেক বাঙালি গর্ব করুক বাঘাযতীনকে নিয়ে।” দুর্গাপুজোয় এবার বাঙালি কোন ছবিগুলিকে দেখার জন্য প্রথম বেছে নেন এখন সেই দিকেই তাকিয়ে সিনে প্রেমীরা।