বাংলাহান্ট ডেস্ক: শনির নজরে এবার ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী রশ্মিরেখা ওঝার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই শোক সামলে উঠতে পারেনি এখনো ইন্ডাস্ট্রি। তার মধ্যেই আবারো খারাপ খবর। প্রয়াত ওড়িয়া বিনোদন জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা রাইমোহন পারিদা (Raimohan Parida)।
একই ভাবে শুক্রবার অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ ঘদ্ধার হয় উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার সকালে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছেন রাইমোহন। কিন্তু আত্মহত্যার কারণ কী ছিল তা জানা যায়নি এখনো।
ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে একজন ছিলেন রাইমোহন পারিদা। মূলত খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে পাকা কম্বল পট ছাট্টা ছবির হাত ধরে অভিনয়ে পা রাখেন তিনি। তারপর একে একে ১০০ টিরও বেশি বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন রাইমোহন। অভিনয় করেছেন বাংলা ছবিতে।
কাজ করেছেন যাত্রাপালাতেও। এমন জনপ্রিয় একজন অভিনেতা হঠাৎ আত্মহত্যা কেন করবেন সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ। ওড়িয়া ফিল্ম ঈন্ডাস্ট্রির আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্ধান্ত মহাপাত্র বলেন, রাইমোহন অত্যন্ত সফল অভিনেতা ছিলেন। তাই তাঁর আর্থিক সমস্যা থাকতে পারে না।
বিষয়টার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। বাড়িতে রাইমোহনের স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। জনপ্রিয় অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। শোকাহত অনেক তারকাই।
কিছুদিন আগেই রশ্মিরেখা ওঝা (Rashmirekha Ojha) নামে এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর গলায় ফাঁস দেওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। ভুবনেশ্বরে নিজের বাড়ি থেকেই ওই অভিনেত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল বলে খবর। গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছিল তাঁর দেহ। প্রাথমিক ভাবে পুলিসের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন অভিনেত্রী।
ওড়িয়া টেলিভিশন জগতে বেশ নাম রয়েছে রশ্মিরেখার। বেশ কিছু সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি। ভুবনেশ্বরের নায়াপল্লী এলাকাতে ভাড়া হিসাবে থাকতেন অভিনেত্রী। জানা গিয়েছে, সন্তোষ পাত্র নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন রশ্মিরেখা। বাড়ির মালিক দাবি করেছেন, সন্তোষকে নিজের স্বামীর পরিচয় দিয়ে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। মেয়ের মৃত্যুর জন্য সন্তোষকেই দায়ী করেছেন রশ্মিরেখার বাবা।